+91 9330828434 +91 9804424251 banglalivenews@gmail.com

‘বাবার দেহাবশেষ ফিরিয়ে আনা হোক ভারতে।’- অনিতা বসু পাফ।

নিজস্ব সংবাদদাতা - August 18, 2024 4:49 pm - সাক্ষাৎকার

‘বাবার দেহাবশেষ ফিরিয়ে আনা হোক ভারতে।’- অনিতা বসু পাফ।

‘বাবার দেহাবশেষ ফিরিয়ে আনা হোক ভারতে।’ ফের বিবৃতি জারি করে দাবি করলেন নেতাজির মেয়ে তথা অর্থনীতিবিদ অনিতা বসু পাফ। তাঁর দাবি, “স্বাধীন ভারতে প্রত্যাবর্তন করার সৌভাগ্য নেতাজির হয়নি। কিন্তু আজও ভারতের বহু মানুষ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন নেতাজিকে। এ হেন মহানায়কের দেহাবশেষ ফেরানো উচিত ভারতে।”বিবৃতিতে অনিতা পাফ জানিয়েছেন, “৭৯ বছর ধরে জাপান, বিশেষ করে রেনকোজি মন্দিরের পুরোহিতদের তিন প্রজন্ম নেতাজির দেহাবশেষ আগলে রেখেছেন। তবে একটা বিষয় ভালো সেটা হল, এত বছর পরও এত সম্মানের সঙ্গে তাঁর দেশবাসী তাঁকে স্মরণ করে। এবার সময় এসেছে তাঁর দেহাবশেষ দেশে ফেরানো উদ্যোগ নেওয়ার।” নেতাজি কন্যা এবার দেশবাসীরও সাহায্য চেয়েছেন। তিনি বলছেন, “সাধারণ মানুষের উচিত এটা নিশ্চিত করা যাতে কোনওভাবে নেতাজির দেহাবশেষ ১৮ আগস্টের মধ্যে ভারতে ফেরে।”১৯৪৫ সালের ৯ আগস্ট জাপানের নাগাসাকিতে পরমাণু বিস্ফোরণ হওয়ার পরেই ব্রিটিশের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালানোর পরিকল্পনা করেছিলেন নেতাজি। কিন্তু তার কিছুদিন পরেই জানা যায়, ১৮ আগস্ট জাপানের তাইহোকু এয়ারবেসে একটি বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে নেতাজির। কিন্তু নানা কারণে সেই তথ্যকে অস্বীকার করেন ভারতের বহু মানুষ। তারপর থেকেই শুরু হয় নেতাজির মৃত্যু নিয়ে জল্পনা। বিভিন্ন সময়ে মোট তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করে নেতাজির মৃত্যু রহস্য সমাধান করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে জানা যায়নি, কবে কীভাবে নেতাজির মৃত্যু হয়েছিল। বেশ কয়েকবার নেতাজি সংক্রান্ত কনফিডেনশিয়াল ফাইল প্রকাশ করার ঘোষণা করা হয়েছে ক্ষমতাসীন সরকারের তরফে। কিন্তু সেই ফাইল থেকেও উল্লেখযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি। নেতাজি কন্যা অনিতা পাফ অবশ্য বরাবরই মনে করেন, ওই বিমান দুর্ঘটনাতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর বাবার। ‘দেহাবশেষ’ ফেরানোর দাবিও একাধিকবার জানিয়েছেন তিনি।


আরও পড়ুন:

Follow Bangla Live on Facebook

Follow Bangla Live on YouTube