নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙলেন মমতা ব্যানার্জি।
২১ রাউন্ডের গণনা শেষে ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী হলেন মমতা ব্যানার্জি। নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙলেন মমতা ব্যানার্জি। ২০১১ সালে ৫৪ হাজার ভোটে জিতেছিলেন আর এবার জিতলেন ৫৮ হাজার ৮৩৫ ভোটে জয়ী হলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে মমতা ব্যানার্জি বলেন, ‘ভবানীপুর সবাইকে জব্দ করে দিয়েছে। ভবানীপুর আমাকে আরও কাজ করার প্রেরণা জুগিয়েছে। আমি চিরঋণী। ভবানীপুরের সব মা ভাই বোনেদের অভিনন্দন এবং সেলাম জানাচ্ছি। এটা ঘটনা ভবানীপুরে ভোটার কম। ভবানীপুরে উপনির্বাচনে এবার ১ লক্ষ ১৫ হাজারের মতো ভোট পড়েছিল। সেই তুলনায় সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে ভোট পড়েছিল অনেক বেশি। ২০১১ সালে আমি ভবানীপুরে ৫৪ হাজার ভোটে জিতেছিলাম। গত বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুরে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ২৮ হাজার ভোটে জিতেছিলেন। এবার আমরা ৫৮ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছি। ভবানীপুরবাসীকে অভিনন্দন। ভবানীপুর বিধানসভার অন্তর্গত কোনও ওয়ার্ডে এবার হারিনি। আমার মন ভরে গিয়েছে কারণ ভবানীপুর দেখিয়ে দিল। সব নির্বাচন জিতেও একটা জিতিনি, বাংলার মন খারাপ হয়েছিল। অনেক চক্রান্ত ছিল।’ মমতা ব্যানার্জি আরও বলেন, ‘পুজোর পরই শান্তিপুর, খড়দহ, গোসাবা, দিনহাটায় উপনির্বাচন রয়েছে। শান্তিপুরে তৃণমূল প্রার্থী হচ্ছেন ব্রজকিশোর গোস্বামী। দিনহাটায় তৃণমূল প্রার্থী হচ্ছেন উদয়ন গুহ। খড়দহে তৃণমূল প্রার্থী হচ্ছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। গোসাবার জন্য দুটি নাম ভাবা হয়েছে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি কাকে প্রার্থী করা হবে। বাপ্পাদিত্য নস্কর এবং সুব্রত মন্ডল এই দুটি নাম ভাবা হয়েছে গোসাবার জন্য এরমধ্যে থেকে একজনকে প্রার্থী করা হবে গোসাবায়। তা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বিকেলে পার্থ চ্যাটার্জি এবং সুব্রত বক্সী এলে। আর নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করছি পুজোয় যেন প্রচার পর্ব বন্ধ রাখা হয়। ২০ তারিখের পর আবার প্রচার পর্ব শুরু হোক। জঙ্গিপুর এবং সামশেরগঞ্জের জন্য মনে পড়ে রয়েছে। তাই বলছি এক দুই তিন সবাইকে ধন্যবাদ দিন।’