অক্সিমিটারের দাম নিয়ন্ত্রণে এবার নড়েচড়ে বসল কেন্দ্র
অক্সিমিটারের দাম নিয়ন্ত্রণে এবার নড়েচড়ে বসল কেন্দ্র। কেন্দ্রের তরফে নোটিশ জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অক্সিমিটারে বছরে ১০ শতাংশের বেশি দাম বাড়ানো যাবে না। করোনা আবহে ওষুধ ও করোনা সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় সরঞ্জামে কালোবাজারি রুখতে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার করোনা সম্পর্কিত সরঞ্জাম অক্সিমিটারের দাম নিয়ন্ত্রনে তৎপর হল কেন্দ্রীয় সরকার। উৎপাদনকারী সংস্থাকে এবার এমআরপি সম্বন্ধে বিস্তারিত কেন্দ্রকে জানাতে হবে।
ইতিমধ্যে রেমডিসিভিরের ওপর কালোবাজারি রুখতে তৎপর হয়েছে সরকার। মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গে রেমডিসিভিরের ওপর কালোবাজারি রুখতে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। এবার করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম অর্থাৎ অক্সিজেন সিলিন্ডার, অক্সিমিটারে কালোবাজারি রুথতে আগেভাগেই তৎপর হল কেন্দ্রীয় সরকার।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, যারা হোম আইসোলেশনে রয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে পালস অক্সিমিটার বেশি লাগছে।ফলে এখন অক্সিমিটারের চাহিদা যে আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু সমস্যা দেখা দিয়েছে, চাহিদার তুলনায় জোগান পর্যাপ্ত নয়। জোগান পর্যাপ্ত না থাকায় কালোবাজারির সম্ভাবনাও বেড়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারের এই দাম নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত ইতিবাচক পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাজারে এখন দুই ধরনের অক্সিমিটার পাওয়া যাচ্ছে। এক ধরনের অক্সিমিটার যা গ্যারান্টি ছাড়া আর আরেক ধরনের অক্সিমিটার পাওয়া যাচ্ছে যা গ্যারান্টি যুক্ত। সূত্রের খবর, এই অক্সিমিটার বেশিরভাগই চিন থেকে আমদানি হয়। কিন্তু এখন চিন থেকে আমদানি বন্ধ রয়েছে। ফলে এখন বাজারে চাহিদা বাড়লেও পর্যাপ্ত জোগানের অভাব দেখা দিয়েছে।