সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে নন্দিতা বলেন, ‘আপনারা আগে নিজেদের মিডিয়ার হেডলাইন ঠিক করুন। এটা পর্নোগ্রাফি নয়, নর্মাল ন্যুড শুট ছিল।
‘পর্নোগ্রাফি নয়’, সাধারণ ‘ন্যুড শুট’ করা হয়েছিল। এমনই দাবি করলেন নিউ টাউন পর্নকাণ্ডে ধৃত নন্দিতা দত্ত। যিনি কলকাতার মডেলিং দুনিয়ার পরিচিত মুখ তথা উঠতি অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে দাবি করতেন। সোমবার বারাসত আদালতে পেশ করার জন্য মৈনাক ঘোষ এবং নন্দিতাকে পুলিশের ভ্যান থেকে নামানো হয়। সেখানে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে নন্দিতা বলেন, ‘আপনারা আগে নিজেদের মিডিয়ার হেডলাইন ঠিক করুন। এটা পর্নোগ্রাফি নয়, নর্মাল ন্যুড শুট ছিল। এটা পর্নোগ্রাফি নয়।’ সেইসঙ্গে নন্দিতা দাবি করেন, মুম্বইয়ে পর্নকাণ্ডে ধৃত শিল্পা শেট্টির স্বামী তথা রাজ কুন্দ্রার সঙ্গে নিউ টাউনের চক্রের কোনও যোগ ছিল না। গত ২৯ জুলাই পর্নকাণ্ডে মৈনাক এবং নন্দিতাকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার চুঁচুড়া থেকে শুভঙ্করকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে শুভঙ্করকে চারদিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় জানা গিয়েছে যে শুভঙ্করকে মেমোরি চিপ দিতেন মৈনাক ও নন্দিতা। পর্নের শুটিং হয়ে গেলে ফের সেই চিপ তাঁদের ফেরত দিতে হত। তবে কোথায় সেই ভিডিয়ো আপলোড করা হত, তা নিয়ে শুভঙ্কর এখনও মুখ খোলেননিষ বাকিরাও সে বিষয়ে মুখে কুলপ এঁটেছেন বলে সূত্রের খবর। এমনিতে পুলিশ সূত্রে খবর, নন্দিতাই মূলত এই পর্ন চক্রটি চালাতেন। ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে উঠতি মডেলদের টোপ দিতেন। এরপর বিভিন্ন স্টুডিয়ো ও হোটেলে নিয়ে গিয়ে তরুণীদের আপত্তিকর ছবি তুলতে বাধ্য করতেন মৈনাক এবং নন্দিতা। ফেসবুকে নিজেকে মডেল এবং অভিনেত্রী বলে পরিচয় দিয়েছেন নন্দিতা। তাঁর ফেসবুক প্রোফাইল জুড়ে বোল্ড ফটোশ্যুটের ছবি ভরতি। খোলামেলা পোশাকে একাধিক ছবি জ্বলজ্বল করেছে সেখানে। নন্দিতার ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টে রয়েছেন টলিউডে বহু বিখ্যাত প্রযোজক-পরিচালকরাও। ফেসবুকে নন্দিতার ফলোয়ার সংখ্যা প্রায় ২৩,০০০ ছুঁইছুঁই। ইনস্টাগ্রামেও তাঁক ফলোয়ার সংখ্যা নেহাত কম নয়।