দল যদি সরকার গড়ে, তা হলে পার্শ্বশিক্ষকদের এই সমস্ত দাবি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হবে, – রাজীব ব্যানার্জী
পূর্ণ শিক্ষকের মর্যাদা দিয়ে স্থায়ীকরণ ও বেতন কাঠামোয় বেতন বৃদ্ধি–সহ ২৬ দফা দাবিতে সল্টলেকে বিকাশ ভবনের সামনে অনশনে বসেছেন পার্শ্বশিক্ষকরা। বৃহস্পতিবার তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের দাবিতে সরব হয়েছিলেন বিজেপি–র সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। এর পর শনিবার আন্দোলনরত পার্শ্বশিক্ষকদের পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী, সদ্য বিজেপি–তে যোগ দেওয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন পার্শ্বশিক্ষকদের লাগাতার অবস্থান ও অনশন মঞ্চে দাঁড়িয়ে কার্যত রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন প্রাক্তন বনমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এর আগে বেকার যুবকদের জন্য গলা ফাটিয়েছি। কর্মসংস্থানে দাবি জানিয়েছি। কিন্তু কিছুই করতে পারেনি সরকার।’ রাজীবের কথায়, ‘আন্দোলনকারীদের দাবি ন্যায়সঙ্গত। এখন শিক্ষকরাও রাজ্যের বঞ্চনার শিকার। এতদিন ধরে অনশন করছে তা সত্ত্বেও তাঁদের কথাও কান দিচ্ছে না সরকার। এটা বাংলার রাজনীতি নয়।’
উল্লেখ্য, কিছু দিন আগে পর্যন্তও বিধানসভার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন পার্শ্বশিক্ষকরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা না করে সেখান থেকে নড়বেন না বলেই তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যদিও সেদিন বিধানসভায় যাননি মুখ্যমন্ত্রী। এবং এ ঘটনায় ৫০ জন আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার পর থেকে আন্দোলন চলছে সল্টলেকে বিকাশ ভবনের সামনে।
এদিকে, এদিন অনশন মঞ্চ ছাড়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দেন, ‘আমি এখন যে দলে আছি, সেই দল যদি সরকার গড়ে, তা হলে পার্শ্বশিক্ষকদের এই সমস্ত দাবি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হবে।’ তাঁর মতে, কেন্দ্র ও রাজ্যে একই দলের সরকার থাকলে এ ধরণের সমস্যা মিটেই যাবে।
রাজ্যের দুঃস্থ মানুষদের জন্য সোমবার থেকেই ‘মা কিচেন’ বা ‘মায়ের রান্নাঘর’ চালু করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়ায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘দুয়ারে সরকারের মতো এবার ভোটের দিকে তাকিয়ে নতুন এই ‘মা’ প্রকল্প। এই সব প্রকল্প ঘোষণা করে মানুষকে বোনা বানানোর চেষ্টা হচ্ছে।’