ফের ময়নাতদন্ত করা হবে নিহত বিজেপি কর্মী উলেন রায়ের
শিলিগুড়িতে নিহত বিজেপি কর্মীর ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল জলপাইগুড়ি আদালত। ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট দিতে হবে ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে।
সোমবার রাতেই প্রাথমিক ময়নাতদন্ত করা হয় নিহত বিজেপি কর্মী উলেন রায়ের। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি আদালতের সিজেএমের এজলাসে পুনরায় ময়নাতদন্তের আবেদন করে মৃতের পরিবার। তাঁদের তরফ থেকে দাবি জানানো হয়েছে, তিনজন চিকিৎসকের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত করা হোক এবং তার যেন ভিডিওগ্রাফিও করা হয়। এবং সেই মর্মে তাঁদের আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত।
জলপাইগুড়ি আদালত নির্দেশ দিয়েছে, ১০ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবারের মধ্যে ময়নাতদন্ত করতে হবে। এবং তাতে তিনজন চিকিৎসককে উপস্থিত থাকতে হবে ও ভিডিওগ্রাফিও করতে হবে। এদিন জলপাইগুড়ি আদালতে শুনানি চলাকালীন প্রশ্ন ওঠে, সোমবার কেন অত দ্রুত রাতের মধ্যেই ময়নাতদন্ত করা হয়? সে ক্ষেত্রে কেন গোপনীয়তা বজায় রাখা হল? সরকারি আইনজীবী অবশ্য এ ব্যাপারে পরিষ্কার কোনও জবাব দিতে পারেননি।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুধবার দুপুরের মধ্যে উলেন রায়ের ফের ময়নাতদন্ত করা হবে। তবে কোন তিন চিকিৎসকের নতুন বোর্ড এর দায়িত্ব থাকবে তা এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, সোমবার বিজেপি–র উত্তরকন্যা অভিযানের সময় শিলিগুড়িতে মৃত্যু হয় উলেন রায় নামে এক ব্যক্তির। তাঁকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করে গেরুয়া শিবির। বিজেপি–র অভিযোগ, পুলিশের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে তাদের কর্মীর। সোমবারই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করে সঠিক তদন্তের দাবি জানায় বিজেপি প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার পুলিশের পক্ষ থেকে টুইট করে জানানো হয়, শটগানের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে উলেন রায়ের। তা ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে। আর এই শটগান ব্যবহার করে না পুলিশ। একই মন্তব্য করেছেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও।
এমনকী, শটগান যে পুলিশ ব্যবহার করে না সেই কথা রানিগঞ্জের এক জনসভায় মঙ্গলবার জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। যদিও পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর এদিনের জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর পাল্টা অভিযোগ, ‘বিজেপি কুৎসা করে ঝড়ের বেগে। মিথ্যা কথা বলে। লোক মারে। নিজে মিছিল করে, নিজে লোক মারে।’ গেরুয়া শিবিরের কাছে তাঁর প্রশ্ন, ‘পুলিশ ওই বন্দুক ব্যবহারই করে না। ছররা দিয়ে তুমি একটা লোককে মেরে ফেলছো ভাই? পাবলিসিটি করার জন্য? প্রপাগান্ডা করার জন্য?’