প্রশান্ত কিশোর বিজেপিতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন! জানালেন শাহ
প্রশান্ত কিশোর বিজেপিতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন! জানালেন শাহ
নীতীশ কুমারের দলে যোগ দিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। কিন্তু বেশিদিন টিকতে পারেননি। উল্লেখ্য ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে প্রশান্ত কিশোর যোগ দিয়েছিলেন জনতা দল ইউনাইটেডে। ২০২০-র জানুয়ারিতে নীতীশ কুমারের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে পিকে-কে বহিষ্কৃত হতে হয় দল থেকে। তার আগেই পিকের প্রবেশ হয়েছে বাংলায় তৃণমূলের ভোটকৌশলী হিসেবে।
প্রশান্ত কিশোর এই মুহূর্তে বঙ্গ রাজনীতিতে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। ২০১৯ লোকসভায় আশাতীত ফল করতে না পেরে প্রশান্ত কিশোরকে বাংলায় এনেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই তৃণমূলের হয়ে প্রচার-পরিকল্পনা রচনা করেছিলেন। এখন ২২০১-এর ভোট শুরুর মুখেই সেই প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে জল্পনা উসকে দিলেন অমিত শাহ।
২০১৯-এর পর থেকেই প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে চর্চা চলছে। তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট কৌশলী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই তিনি দিদিকে বলোর মতো কর্মসূচি নিয়েছিলেন। তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুয়ারে সরকারের মতো কর্মসূচির পিছনেও তাঁর মস্তিষ্ক ছিল। এই প্রচার পরিকল্পনাসকল ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
পিকে বিজেপিতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন, জানালেন শাহ
বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকারে এই চাঞ্চল্যকর দাবি করে অমিত শাহ বলেন, পিকে বিজেপিতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। আমরা চাইনি পিকে-কে দলে নিতে। নীতীশকুমার বলেছিলেন, অমিত শাহের অনুরোধেই প্রশান্ত কিশোরকে দলে নিয়েছিলেন তিনি। এই প্রশ্নের উত্তরে অমিত শাহের অকপট স্বীকারোক্তি, তিনি বলেছিলেন নীতীশ কুমারকে দলে নিতে।
কেন বিজেপিতে যোগ দিতে পারেননি পিকে, ব্যাখ্যা শাহের
অমিত শাহ এরপর বলেন, প্রশান্ত কিশোর সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়য়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তাদের দলে ভোট স্ট্র্যাটেজিস্ট বলে কিছু নেই। দলের সবাই রাজনৈতিক কর্মী। রাজনৈতিক কর্মীরাই দলের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করেন। সেই কারণেই তাঁকে দলে না নিয়ে নীতীশ কুমারের সঙ্গে দেখা করতে বলেছিলাম।