শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠকের পরেই পিকে’র চ্যালেঞ্জের উত্তর দিলেন মুকুল রায়
বুধবার সল্টলেকের মুকুল রায়ের বাড়িতে হাজির হলেন শুভেন্দু অধিকারী। দু’জনের মধ্যে আধ ঘণ্টা বৈঠক হয়। শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এটাই একান্তে প্রথম বৈঠক। এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে দাবি করেছেন বিজেপি’র সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি মুকুল রায়। কিন্তু সূত্রের খবর, প্রশান্ত কিশোর যে দাবি করেছেন তা প্রেক্ষিতেই আলোচনা হয়েছে। কিভাবে বিধানসভা নির্বাচনে আসন বাড়ানো যায় তা নিয়েই দু’পক্ষের মধ্যে কথা হয়েছে।
যদিও মুকুল রায়ের কথায়, ‘শুভেন্দু গণ–আন্দোলনের ফসল। অনেক কাছ থেকে দেখেছি। আমাদের দূরত্ব ছিল রাজনৈতিক কারণে। আমি বিজেপি নেতা ও তৃণমূল নেতা। এখন একই দলে আছি। ও মনে করেছে যাই মুকুল দার সঙ্গে দেখা করে আসি। এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ।’ শুভেন্দুও জানিয়ে দেন, ‘একই দলে আছেন, তাই এসেছেন।’ আসলে অমিত শাহ বঙ্গ–সফরে এসে রাতে যখন পাঁচ তারা হোটেলে বৈঠকে বসেছিলেন তখন সেখানে শুভেন্দুকে আসন নিয়ে কিছু কথা বলেন।
কাঁথিতে শুভেন্দুর গড়েই এদিন সভা করেছে তৃণমূল। ওই সভা থেকে শিশিরপুত্রকে মীরজাফর বলে নিশানা করেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। এই নিয়ে মুকুল রায় বলেন, ‘এর আগেও কাঁথিতে একাধিকবার শুভেন্দুকে দুর্বল করার চেষ্টা হয়েছিল, সফল হয়নি।’ আর শীলভদ্র বলেন, ‘বয়স হলে মানুষ অনেক কথা ভুলে যায়। সৌগতদার বয়স হয়েছে।’
উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের ফল নিয়ে পিকে চ্যালেঞ্জ করেছেন বিজেপিকে। মুকুল রায় এদিন মন্তব্য করেন, অমিত শাহ–জেপি নাড্ডার নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে বিজেপি। সামনের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ৫০টা আসন পাবে না। অর্থাৎ তৃণমূলকে কি করে দুর্বল করা যায়, আর বিজেপি’র আসন বাড়ানো যায় সেই বিষয়েই এদিন স্ট্র্যাটেজি সাজান তাঁরা। এবার সেই নকশা অনুযায়ী এবার কাজ শুরু হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।