বাংলাদেশ সফর শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
দু’দিনের বাংলাদেশ সফর শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লকডাউনের পর এই প্রথম বিদেশ সফর প্রধানমন্ত্রীর। প্রথম সফরেই প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির থাকছেন তিনি। শুক্রবার, ২৬ মার্চ, বাংলাদেশের ৫০তম স্বাধীনতা দিবস। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীও পালন করছে বাংলাদেশ। তবে মোদীর বাংলাদেশ সফরে বিশেষ নজর থাকছে ওড়াকান্দিতে মতুয়া পরিবারের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীদের সাক্ষাত।
শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ ঢাকার হজরৎ শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখান থেকে সাভারে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের শহিদদের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান শহিদদের উদ্দেশে। পরে বাংলাদেশের প্রবাসী ভারতীয়রা অভ্যর্থনা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। সফর চলাকালীনই বাংলায় টুইট করে বাংলাদেশ সফরের কথা জানান প্রধামন্ত্রী। মোদী লেখেন, ‘ঢাকা পৌঁছলাম। বিমানবন্দরে বিশেষ অভ্যর্থনা জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ। এই সফর আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে’। পরে বাংলাদেশকে ভারতের তরফে ১২ লাখ কোভিড টিকা উপহার দেওয়ার ঘোষণাও করেন প্রধানমন্ত্রী।
শুক্রবার ঢাকা থেকে শক্তিপীঠ যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। সেখান থেকে রওনা হবেন ওড়াকান্দিতে মতুয়া ধাম দর্শনের জন্য। মোদীর এই মতুয়া সাক্ষাৎ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে জল্পনা তুঙ্গে।
পশ্চিমবঙ্গে ৮ দফা বিধানসভা নির্বাচনের মতুয়ারাই বিজেপির কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ । মোট ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের ৮৪টিতে মতুয়া ভোটারের সংখ্যা ১৭ লক্ষের বেশি। পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা দখলের যে দাবি বিজেপি করছে, তার অনেকটাই নির্ভর করবে এই মতুয়াদের উপর। বিশেষ করে নদিয়া এবং উত্তর ২৪ পরগণা মিলিয়ে মোট ৫০টি বিধানসভা কেন্দ্রের ৩২-৩৩টি আসনে প্রভাব ফেলবে এই মতুয়াদেরই ভোট।