পৌষমেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হতেই হতাশ রবীন্দ্র অনুরাগীরা।
শীতকাল পড়তে না পড়তেই শান্তিনিকেতনে পৌষমেলায় ঢুঁ মারার পরিকল্পনা শুরু হয় রাজ্যবাসীর। অতিমারির দ্বিতীয় বর্ষে সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতেই পৌষমেলায় যোগদানের জন্য মুখিয়ে রয়েছে আপামর বাঙালি। কিন্তু ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেও পৌষমেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গিয়েছে। চলতি বছরে আদৌ এই ঐতিহ্যবাহী মেলা হবে কি না, তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেই ডিসেম্বরের শেষ থেকে নতুন বছরের শুরুতে একাধিক মেলার আয়োজন করেছে বীরভূম জেলা প্রশাসন। রবীন্দ্র ঐতিহ্য মেনে পৌষমেলা শুরুর দিনেই ডাকবাংলো মাঠে শুরু হবে একটি মেলা। ২৩ ডিসেম্বরে শুরু হবে ওই মেলা। চলবে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পৌষমেলার মতোই হস্ত ও কুটির শিল্পকেই বিশেষ প্রাধান্য দেওয়া হবে। এরপর রাজ্যে ক্ষুদ্র, কুটির ও বস্ত্রবয়ন শিল্প দফতরের উদ্যোগেও বোলপুরে বিশ্ববাংলা ক্ষুদ্র বাজারে একটি মেলার আয়োজন করা হবে। যা ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে। মেলায় উপস্থিত থাকতে পারেন মন্ত্রী থেকে আধিকারিকরা।
একাধিক মেলার আয়োজন করা হলেও পৌষমেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হতেই হতাশ রবীন্দ্র অনুরাগীরা। শুরু থেকেই পৌষমেলার আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, পৌষমেলার জন্য কোটি টাকা ব্যয় করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। ফলে বর্তমানে তাঁদের তরফে সাড়া না মিললে, পৌষমেলা সম্ভবত বন্ধও হয়ে যেতে পারে।