+91 9330828434 +91 9804424251 banglalivenews@gmail.com

ভোটের প্রচারে নামলেন ‘মহাগুরু’, মানুষের ঢল বাঁকুড়ায়

নিজস্ব সংবাদদাতা - March 25, 2021 5:42 pm - রাজ্য

ভোটের প্রচারে নামলেন ‘মহাগুরু’, মানুষের ঢল বাঁকুড়ায়

ভোটের প্রচারে নামলেন মিঠুন চক্রবর্তী। এদিন সকালে তিনি হেলিকপ্টারে পৌঁছে যান বাঁকুড়ার শালতোড়ায়। সেখান থেকে বিজেপি প্রার্থী চন্দনা বাউড়ির সমর্থনে রোড শো শুরু করেন। যাকে ঘিরে মানুষের উন্মাদনা ছিলে চোখে পড়ার মতো। প্রায় সবাই মোবাইল নিয়ে রোড শোতে যোগ দেন, যদি কখনও মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে ছবি পাওয়া যায়।

এদিন সকালে হেলিকপ্টারে শালতোড়ায় পৌঁছন মিঠুন চক্রবর্তী। সেখানেই মহাগুরুকে দেখতে মানুষের ঢল নামে। মানুষের ভিড়ে তিনি বেশ কিছুক্ষণ হেলিকপ্টারের মধ্যেই বসে থাকেন। তারপর সেখান থেকে নেমে গাড়িতে ওঠেন মিঠুন চক্রবর্তী। শুধু গ্রাম বাংলাতেই ময়, রাজ্য জুড়ে মিঠুনের যে জনপ্রিয়তা রয়েছে, তাকেই কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি।

মিঠুন চক্রবর্তী শালতোড়ার বিজেপি প্রার্থী চন্দনা বাউড়ির সমথনে রোড শোতে অংশ নেন। রোড শো-এ মানুষের ঢল নামে। মিঠুন চক্রবর্তীর গাড়ির দুপাশে, সামনে পিছনে বহু মানুষ হাঁটতে থাকেন। অনেকে আবার মহাগুরু, কিংবা এমএলএ ফাটা কেষ্ট বলে চিৎকার করতে থাকেন। মিঠুন বলেন, গরিবের জন্য লড়াই কতরতে হবে। বিজেপি প্রার্থীর মাথায় হাত দিয়ে তিনি আশীর্বাদও করেন। রাজ্য বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে মিঠুন চক্রবর্তীকে সবকটি সাংগঠনিক জেলায় প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে নামানো হবে।

এদিন শুধু শালতোড়াতেই নয় পুরুলিয়ার মানবাজার এবং কেশিয়ারিতে রোড শোতে অংশ নেন তিনি। এরপর তিনি ৩০ মার্চ নন্দীগ্রামে রোড শো করবেন। টেঙ্গুয়া মাড় থেকে নন্দীগ্রাম বাজার পর্যন্ত রোড শো-তে অংশ নেবেন তিনি। ইতিমধ্যে মিঠুন কাশীপুর-বেলগাছিয়া কেন্দ্রের ভোটার হিসেবে নিজের নাম নথিভুক্ত করেছেন। তবে তাঁর প্রার্থী হওয়া নিয়ে জল্পনা তৈরি হলেও, শেষ পর্যন্ত তাঁকে প্রার্থী তালিকায় রাখা হয়নি।

৭ মার্চ তিনি সরকারিভাবে বিজেপিতে যোগদান করেন। প্রধানমন্ত্রী ব্রিগেডের মঞ্চে আসলে তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানান। তার আগে তাঁকে নাগপুরে আরএসএস-এর সদর দফতরে দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে, আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতকেও তাঁর বাড়িতে দেখা গিয়েছে। রাজ্যে বাম শাসনের সময়ে তৎকালীন মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তীর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিল। তিনি জ্যোতি বসুকেও পছন্দর করতেন। পরে রাজ্যে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠান। কিন্তু বছর দুয়েকের মধ্যে তিনি ইস্তফা দেন রাজ্যসভার সদস্যপদে।


আরও পড়ুন:

Follow Bangla Live on Facebook

Follow Bangla Live on YouTube