ছোট মণ্ডপের ক্ষেত্রে ৫ মিটার ও বড় মণ্ডপের ক্ষেত্রে ১০ মিটার দূর থেকে প্রতিমা দর্শন করা যাবে।
গতবছরের মতো এবারও দুর্গাপুজো ও কালীপুজোয় মণ্ডপে দর্শকদের জন্য থাকছে ‘নো এন্ট্রি’। ছোট মণ্ডপের ক্ষেত্রে ৫ মিটার ও বড় মণ্ডপের ক্ষেত্রে ১০ মিটার দূর থেকে প্রতিমা দর্শন করা যাবে।
সব মণ্ডপই হবে কন্টেনমেন্ট জোন। ঢুকতে পারবেন শুধু পুরোহিত ও উদ্যোক্তারা। তাও মেনে চলতে হবে কোভিড বিধি। এমনকি বড় পুজোর ক্ষেত্রে ৪৫ ও ছোট পুজোর ক্ষেত্রে ২০ জন স্বেচ্ছাসেবী থাকতে পারবেন। এই স্বেচ্ছাসেবীদের তালিকা দিতে হবে পুলিশকে। ব্যারিকেডের ভিতরে বাফার জোনে থাকবেন ঢাকি। অঞ্জলি ও সিঁদুর খেলা যাবে না। ভার্চুয়ালি পুজো দেখার পরামর্শ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
তবে ১০ থেকে ২০ অক্টোবর অবধি নাইট কারফিউ তুলে দেওয়া হয়েছে। এখানেই সাবধান হতে হচ্ছে কলকাতা পুলিশকে। কারণ মণ্ডপে না ঢুকতে পারলেও প্রচুর মানুষ রাস্তায় বেরোবেন।
আর এতেই পুলিশ সহ বড় পুজোর উদ্যোক্তারা মণ্ডপের বাইরে প্রচুর ভিড়ের আশঙ্কা করছেন। কোনও কোন পুজো কমিটি আবার মণ্ডপের বাইরের ভিড় সামলাতে রোবট রাখার ভাবনাচিন্তা করছে। ওই রোবটই দেখবে কে মাস্ক পরেননি, কোথায় ভিড় হচ্ছে। এবারের পরিস্থিতি যে বড় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে, তা মেনে নিচ্ছে কলকাতা পুলিশের একাংশ। কারণ, পুজোর দিনগুলিতে নাইট কারফিউ না থাকার ফলে পথে বেশি মানুষ নামার আশঙ্কা প্রবল। কিন্তু তাঁরা যদি মণ্ডপে ঢুকতে না পারেন, সেক্ষেত্রে ব্যারিকেডের সামনে ভিড় জমতে পারে। যা কালঘাম ছোটাতে পারে পুলিশের। আর তাই দিন কয়েকের মধ্যেই পুলিশের তরফে পুজোর নির্দেশিকা প্রকাশ করা হবে।