পুজোর সময় দিশারীর উপহার দীন দরিদ্র অসহায় শিশুদের
“বহুরূপে সম্মুখে তোমার,
ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর,
জিবে প্রেম করে যেই জন,
সেই জন সেবিছে ঈশ্বর”
মন্ত্রে দীক্ষিত দিশারীর সভ্যগণ, অক্লান্ত ভাবে তাদের সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতাটার নজির রেখে চলেছে ….অগণিত মানুষের ভালোবাসা, শুভেচ্ছে ও সাহায্যকে পাথেয় করে দিশারী পরের পর রেখে চলেছে সমাজ কল্যাণকর কাজের উদাহরণ … তাদের সমাজ সেবা, পরিসর এর ব্যাপ্তি গ্রাহ্য করে না … পরিসর ক্ষুদ্র হোক বা বৃহৎ … উদ্দেশ্য যেখানে মহৎ সেখানে আড়ম্বরের আতিশয্য তাদের কাছে অনভিপ্রেত …..
কবির ভাষায় ,
যেথায় থাকে সবার অধম দীনের হতে দীন
সেইখানে যে চরণ তোমার রাজে
সবার পিছে, সবার নীচে,
সব-হারাদের মাঝে।
মধ্য হাওড়ার কদমতলা মঠ বাগান এলাকার কেদার মুখার্জি লেন এমনই একজায়গায় দিশারী উপস্থিত হয়েছিল, যেখানে দীন দরিদ্র অসহায় শিশু পুজোর সময় নিজের জন্য বা আপন পরিবারের সদস্যদের জন্য নতুন পোশাকের ব্যবস্থা করতে সম্বলহীন ছিল … সেখানে দিশারী এর অধিকাংশ সদস্য উপস্থিত থেকে সেই সহায় সম্বলহীন মানুষদের মধ্যে নতুন পোশাক বিতরণ করে …. আবাল, বৃদ্ধ, বনিতাদের হাতে তুলে দেয় হয় উপযুক্ত বস্ত্র-সামগ্রী … অনাথ শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হয় প্যান্ট শার্ট … গ্রহীতাদের মুখে ফুটে উঠে হাসি … হাসি ফোটে দিশারীর বাণীব্রত, সরোজ, উপানন্দ, পিন্টু, বাচ্চু, অজয়, সুকু, শৈবালদের মুখেও … আকাশের কোনো কোণ থেকে ভগবান ও স্মিত হাসেন ….
দিশারীর এগিয়ে চলার ইতিহাসে, এই আপাত চমকহীন অথচ অনন্য ও গভীর নজির রেখে যাওয়া কর্মযজ্ঞের বারংবার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে এবং ভবিষ্যতেও ঘটতে থাকবে …. দিশারীর তার শাখাপত্র বিস্তৃত করে মহীরুহতে পরিণত হবার দিকে এগিয়ে চলেছে …. করোনা কালে দিশারী যেমন মানুষের পশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলো … তেমনই টিকাকরণ অভিযানেও দিশারী তাদের শ্রেষ্ঠত্বএর নিজৰ রেখেছে …. অদূর ভবিষ্যতে দিশারী আরও ব্যাপক অর্থে জন সেবা এবং কল্যাণ মূলক কর্মসূচি রূপায়িত করতে বদ্ধপরিকর থাকবে ….