পাঞ্জাবের ভোট কিন্তু অনেক বেশি টানটান।
১১৭ আসনের বিধানসভায় সমীকরণ বেশ জটিল। পুরনো অনেক ছকই ভেঙে গিয়েছে। তার জায়গায় এসেছে নতুন সমীকরণ। আবির্ভাব হয়েছে নতুন দলের। নতুন জোটের। তাই এবার পাঞ্জাবের ভোট কিন্তু অনেক বেশি টানটান।
বহুদিনের পুরনো সঙ্গী শিরোমণি অকালি দলকে এই ভোটে আরে পাশে পায়নি বিজেপি। কৃষক আইন নিয়ে বিক্ষোভের সময়ই তারা বিজেপি–সঙ্গ ছেড়েছে। এবার মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টির সঙ্গে লড়বে অকালি দল। পাঞ্জাবে ভোটারদের বড় অংশ দলিত। তাই সেখআনে মায়াবতীর দলের কদর অনেক। তবে ভোটের ফলাফল বেরোলে কিন্তু অনেক কিছুই হতে পারে। ফের তারা ধরতে পারে পুরনো সঙ্গীর হাত।
অন্যদিকে বিজেপি এবার পাশে পেয়েছে অমরিন্দর সিংয়ের নতুন দল পাঞ্জাব লোক কংগ্রেস। কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধুর সঙ্গে তুমুল বাদনুবাদ। কাদা ছোড়াছুড়ি। তার পরই কংগ্রেসের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক ছেদ করেন অমরিন্দর। কৃষকদের তৈরি নতুন দল সংযুক্ত সমাজ মোর্চাও এবার রয়েছে বিজেপি–র জোটে।
এদিকে কংগ্রেস অন্তর্দ্বন্দ্বে জর্জরিত। তাদের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নিকেই এই ভোটের মুখ করা হয়েছে। তিনিই দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী। তবে এর মধ্যেই চান্নির সঙ্গে রাজ্য সভাপতি সিধুর বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে। সেই প্রভাব পড়েছে প্রচারেও। তাদের ঘাড়ে কাছে শ্বাস ফেলছে কেজরিওয়ানের আপ। পাঞ্জাবে ক্রমেই জমি শক্ত হচ্ছে তাদের। আপ–এর মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ভগবন্ত সিং মান।
পাঞ্জাবে ভোটার সংখ্যা ২.১৪ কোটি। ১১৭টি বিধানসভা আসনে মোট প্রার্থী সংখ্যা ১,৩০৪। ২৩টি জেলায় ২,২৬৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন পেশ করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১,৬৪৫ জনের হলফনামা বৈধ ঘোষণা করে কমিশন। তাঁদের মধ্যে আবার ৩৪১ জন মনোনয়ন তুলে নেন। পাতিয়ালা আসনে প্রার্থীর সংখ্যা সর্বোচ্চ। সেখানে ১৯ জন প্রার্থী রয়েছেন।
চামকৌর সাহিব থেকে মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি, অমৃতসর পূর্বে নভজ্যোত সিধু, পাতিয়ালা আসনে অমরিন্দর সিং, জালালাবাদ আসনে সুখবীর সিং বাদল, ভাতিণ্ডা আসনে হরসিমরত কৌর, লাম্বি আসনে পরকাশ সিং বাদল। এঁদের ভাগ্য নির্ধারণ হবে ১০ মার্চ।