+91 9330828434 +91 9804424251 banglalivenews@gmail.com

রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক স্তরে বড়সড় রদবদলের সম্ভাবনা।

নিজস্ব সংবাদদাতা - June 6, 2021 11:57 am - রাজ্য

রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক স্তরে বড়সড় রদবদলের সম্ভাবনা।

রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক স্তরে বড়সড় রদবদলের সম্ভাবনা। দলীয় সূত্রের ইঙ্গিত, বদলাতে পারেন বেশ কয়েকজন জেলা সভাপতি । আগামী ৮ জুন পর্যালোচনা বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। রিপোর্ট যাবে দিল্লির দলের সদর দফতরে। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচন ও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, ফল প্রকাশের কিছুদিনের মধ্যেই রাজ্য বিজেপি নেতারা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন। কিন্তু এবার এক মাস পেরিয়ে বেশ কয়েকটা দিন কেটে গিয়েছে। নির্বাচনী হারের পর্যালোচনা করার তাগিদ সে অর্থে বিজেপি নেতাদের মধ্যে দেখা যায়নি। একুশের নির্বাচন বিজেপির রেজাল্টকে অনেকেই বিপর্যয় বলে মনে করছেন। আবার বিশ্লেষক তথা বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, এটা বিপর্যয় নয়। কারণ ২০১৬ সালে বিধানসভায় আসন ছিল ৩টি। সেখান থেকে এবার ৭০ টা আসন। কিন্তু একুশের নির্বাচনে এবার ২০০ টার্গেট রেখেছিল পদ্মশিবির। মোদী-শাহ জুটি বাংলায় বারবার এসে স্লোগান চড়িয়েছেন, “ইস বার দুশো পার…” কিন্তু প্রত্যাশার পারদ চড়লেও ফল শূন্য। কারণ একশোরও গণ্ডি পেরোতে পারেনি বিজেপি। কিন্তু কেন এমনটা হল? খামতি রয়েছে কোথায়? তা নিয়ে গণনা পরবর্তী সময়ে বাংলায় প্রচুর আলোচনা হয়েছে এবং হচ্ছে। কিন্তু আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে যারা, অর্থাৎ সেই বিজেপি পদ্মশিবির কিন্তু এখনও পর্যন্ত পর্যালোচনার পথে হাঁটেনি! এবার হাঁঁটতে চলেছে। নির্বাচন ফল প্রকাশের পরবর্তী সময়ে রাজ্য বিজেপি নেতারা একাধিকবার আলোচনা করেছেন। কখনও সশরীরে দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে, কখনও বা ভার্চুয়ালি। কিন্তু সূত্রের খবর, সেগুলির একটিতেও হারের কারণ নিয়ে পর্যালোচনা হয়নি, বা বলা ভালো ভরাডুবির প্রসঙ্গ ওঠেনি। কয়েক জন নেতা এ প্রসঙ্গ উত্থাপন করলেও, তাঁদের থামতে বলা হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। এ প্রসঙ্গে দলেরই শীর্ষদের একাংশের মত, হারের কারণ নিয়ে পর্যালোচনা করলে দোষারোপ পাল্টা দোষারোপের পালা উঠে আসবে। সেটা এড়াতেই এতদিন নির্বাচনী পর্যালোচনা বৈঠক এড়ানো হয়েছিল। তবে বঙ্গ নেতারা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সামনে বসেই এহেন কাটাছেঁড়া করতে চান।


আরও পড়ুন:

Follow Bangla Live on Facebook

Follow Bangla Live on YouTube