রাজ্য সরকারের ১০ বছরের রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করল তৃণমূল
বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তৃণমূলকে কড়া টক্কর দিতে কোমর বেঁধেছে বিজেপি। আর রাজ্যে বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতির সভার দিনই গত ১০ বছরের উন্নয়নের খতিয়ান পেশ করল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার দলের সদর দফতরে আনুষ্ঠানিকভাবে সূচনা হল ‘বঙ্গধ্বনি যাত্রা’ কর্মসূচির। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মতো একাধিক দফতরের হেভিওয়েট মন্ত্রীরা। শুক্রবার থেকে এই রিপোর্ট কার্ড নিয়ে রাজ্যে ২৯৪টি বিধানসভা এলাকায় বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবেন তৃণমূল কর্মীরা।
এক দশকে ১১টি ক্ষেত্রে উন্নয়নের মাইলস্টোন তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত রিপোর্ট কার্ডে এই কথাই তুলে ধরলেন দলীয় নেতৃত্ব। তার মধ্যে রাজ্যে শুরু হয়েছে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি। যার আওতায় রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্পের সুবিধা মানুষের কাছে পৌঁছনর জন্য ক্যাম্প করা হচ্ছে প্রতিটি পঞ্চায়েতে। কোথাও কোথাও তো আবার ঘরে ঘরেও পৌঁছে যাচ্ছেন জনপ্রতিনিধিরা।
এই রিপোর্ট কার্ডে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজ্যবাসীর গড় আয় গত এক দশকে দ্বিগুণ বেড়েছে। বেড়েছে জিডিপি। শিল্প ও অনুসারি শিল্পক্ষেত্রে আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। শিক্ষা, ক্রীড়া, শিল্প ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে বাজেট বেড়েছে অনেকটাই। কন্যাশ্রী, সবুজসাথী, মিড ডে মিল, পোশাক বিলির উদ্যোগে উপকৃত হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। গত ১০ বছরে রাজ্যে ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয় ও ৫০টি কলেজ–সহ একাধিক নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, খাদ্যসাথী, আবাস যোজনা, নির্মল বাংলা, বিদ্যুত ও পানীয় জল, রাস্তাঘাট, কৃষকবন্ধু প্রকল্প, রূপশ্রী প্রকল্প, ১০০ দিনের কাজ, কারখানা বেড়েছে ১৫ শতাংশ, সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প প্রভৃতি।
সরকারি প্রকল্পের সুবিধা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই নয়, তৃণমূল জমানায় সরকারের ১০ বছরের কাজের খতিয়ান বা রিপোর্ট কার্ডও প্রকাশ করা হল। এই রিপোর্ট কার্ড মানুষের কাছে জবাব দেওয়ার জন্য।