রাজনৈতিক অবস্থান খোলসা করলেন না শুভেন্দু
রামনগরের সমবায় সপ্তাহ পালনের মঞ্চ থেকে নাম না করে তৃণমূলকে বিঁধলেও নিজের রাজনৈতিক অবস্থান খোলসা করলেন না শুভেন্দু অধিকারী। উলটে এদিন তাঁকে নিয়ে জল্পনা বাড়ানোর জন্য সংবাদমাধ্যমের একাংশ আক্রমণ করেন তিনি।
সমবায় সপ্তাহ পালন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে আয়োজন করা হয়েছিল বিশাল জনসভার। এদিনের জনসভায় প্রায় ২০,০০০ মানুষ হাজির ছিলেন বলে দাবি আয়োজকদের। সেখান থেকেই নাম না করে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন শুভেন্দু।
এদিন তিনি বলেন, ‘১৯৯৬ সাল থেকে আমি সমবায় আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। পয়সার জন্য নয়, নেশায় মানুষের কাজ করি। সমবায়ের মাধ্যমে প্রায় ১ কোটি মানুষের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত আমি।’
এদিনের সমাবেশে তিনি তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান খোলসা করতে পারে বলে যে জল্পনা ছড়িয়েছিল তাকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, আমি একটা দলের প্রাথমিক সদস্য। আমি একটা মন্ত্রিসভার সদস্য। মুখ্যমন্ত্রী আমাকে মন্ত্রী রেখেছেন। উনিও তাড়াননি, আমিও ছাড়িনি। রাজনৈতিক কথাবার্তা দলের ভিতরে থেকে, মন্ত্রিসভায় থেকে বলা যায় না। আমরা বিদ্যাসাগরের দেশের মানুষ। আমরা এত অনৈতিক কাজ করি না।
বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক মতান্তর, বিভেদ হয়, বিভেদ থেকে বিচ্ছেদও হয়। যতক্ষণ ওই দলে আছেন, বা মন্ত্রিসভায় আছেন… যতক্ষণ নিয়ন্ত্রকরা তাড়ায়নি বা আমি ছাড়িনি ততক্ষণ এসব মঞ্চে ওসব কথা বলা যায় না। একেবারে নীতি আদর্শ বিসর্জন দিয়ে কাজ করার লোক আমরা নই।
সংবাদমাধ্যমকে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, ‘অনেকে এই মঞ্চে আমি রাজনৈতিক কথা বলব বলে মনে করেছিলেন। তাঁদের ছড়ানো খবরের দায়িত্ব তাদেরই নিতে হবে। আমি নেব না’।
এদিনও শুভেন্দুর নিশানা ছিল তৃণমূল। নাম না করেই নিজের দলের উদ্দেশে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, ‘একদিন-দুদিনের লোক নই তো, বসন্তের কোকিল নই তো আমি। সবার সঙ্গে আত্মিক পরিচয় রয়েছে। আর শুধু ভোট চাই ভোট দেও, ভেঙে দেও গুঁড়িয়ে দেও তো বলি না। লকডাউনে, কোভিডে, আমফানে থাকি। নিজে করোনায় আক্রান্ত হয়েছি’।
নিজের রাজনৈতিক অবস্থান খোলসা না করলেও এদিনের শক্তিপরীক্ষায় শুভেন্দুর জয় স্পষ্ট দেখা গিয়েছে। সঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতার পথ যে এখনো বন্ধ হয়নি তাও স্পষ্ট করেছেন তিনি।