মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ‘রাত্তিরের সাথী’ নামে নয়া প্রকল্প নিয়ে এল রাজ্য সরকার।
আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। প্রশ্ন উঠেছে নাইট শিফটে মহিলা চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, নার্সদের ডিউটি নিয়ে। এর মধ্যেই মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ‘রাত্তিরের সাথী’ নামে নয়া প্রকল্প নিয়ে এল রাজ্য সরকার। যাঁরা নাইট শিফটে কাজ করেন তাঁদের সহায়তার জন্যই এই প্রকল্প আনছে রাজ্য। শনিবার এই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরজি করের ঘটনার পর স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেছে প্রশাসন। হস্তক্ষেপ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। শনিবার আলাপন জানান, ‘একাধিক দপ্তর মিলে এই রাত্তিরের সাথী প্রকল্প চালাবে। মেডিক্যাল কলেজগুলিতে পুলিশ নিয়মিত টহলদারি করবে। দেখা হবে কোনও নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীকে যেন ১২ ঘণ্টার বেশি ডিউটি না করতে হয়’।
আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন, প্রত্যেক হাসপাতালে মহিলাদের জন্য আলাদা শৌচাগার, রেস্টরুমের ব্যবস্থা করা হবে। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে থাকবে সিসিটিভি। সমস্ত মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীকে এই রাত্তিরের সাথী অ্যাপ দ্রুত ডাউনলোড করে ফেলতে হবে। এর সঙ্গে সোজাসুজি যোগাযোগ থাকবে স্থানীয় থানা এবং অ্যালার্ম ব্যবস্থার। জানানো হয়েছে, কোনও রকম জরুরি অবস্থার মধ্যে পড়লেই হেল্পলাইন নম্বর ১০০ অথবা ১১২ ডায়াল করতে হবে।
তাছাড়া, প্রত্যেক হাসপাতালে সিকিউরিটি চেক, শ্বাসপ্রশ্বাস পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকতে হবে। নাইট ডিউটি চলাকালীন মহিলা কর্মীদের দলবদ্ধ ভাবে থাকার কথা জানিয়েছেন আলাপন। জানিয়েছেন, সহকর্মীদেরও যাতে জানানো হয় কার কোথায় ডিউটি পড়ছে। নিরাপত্তা রক্ষীর ক্ষেত্রেও যাতে পুরুষ এবং মহিলার মিশ্রণ থাকে সেই ভরসাও দেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে।