সংকট কাটছে না বিজেপির
বৃহস্পতিবার ১৪৮টি কেন্দ্রের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করেছে বিজেপি। প্রার্থী তালিকা প্রকাশের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বিজেপির সব পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সৌরভ শিকদার। যদিও তিনি বলেন, এর সঙ্গে প্রার্থী পদের কোন সম্পর্ক নেই। বিজেপির যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন প্রাক্তন বিজেপি নেতা তপন সিকদারের আত্মীয় সৌরভ। আসানসোলে দলের পর্যবেক্ষকে পদেও ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। সৌরভ জানিয়েছেন, সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিলেও এখনই তিনি দল ছাড়ছেন না।
১৪৮ আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেই জেলায় জেলায় শুরু হয়ে গিয়েছে বিক্ষোভ। দুর্গাপুর পূর্বে বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। লালা ঘনিষ্ঠ দীপ্তাংশ চৌধুরীকে প্রার্থী করেছে বিজেপি । প্রার্থী বদলের দাবিতে দুর্গাপুরে সদর কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। তাঁরা অভিযোগ করেছেন দীপ্তাংশু চৌধুরী এসবিএসটিিস দুর্নীতি কাণ্ডে যুক্ত।
জগদ্দলে বিজেপি প্রার্থী করেছে অরিন্দম ভট্টাচার্যকে প্রার্থী করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বিজেপির পোস্টারে। অন্যদিকে বিজেপি কর্মী সমর্থক পাণ্ডবেশ্বরেও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে। পাণ্ডবেশ্বরে প্রার্থী করা হয়েছে সদ্য তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। দীর্ঘ আবেদন নিবেদনের পর শুভেন্দুর সৌজন্যে বিজেপিতে যোগ দিতে পেরেছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি।তাঁকে প্রার্থী করায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে মতিউর রহমানকে প্রার্থী করায় বিক্ষোভ শুরু হয়ে গিয়েছে বিজেপির অন্দরে। মালদহে বিজেপি কার্যালয় ভাঙচুর করলেন দলীয় কর্মী সমর্থকরা। অন্যদিকে জলপাইগুড়িতেও প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। প্রার্থী বদলের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন তাঁরা। জেলায় জেলায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর থেকে কলকাতায় বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয় হেস্টিংসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিলেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। হাওড়া, উদয়নারায়ণপুর,পাঁচলার বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও বিজেপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে সফর সূচি বদলে কলকাতায় আসতে হয়েছিল অমিত শাহকে। বঙ্গ বিজেপির নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন জেপি নাডডা।