শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে মামলা গড়াল কলকাতা হাইকোর্টে
চতুর্থ দফার ভোটে রক্তাক্ত হয়েছে শীতলকুচির। ১০ এপ্রিল দু’টি ভিন্ন ঘটনায় অকালেই ঝরে পড়েছে পাঁচটি তরতাজা প্রাণ। এবার শীতলকুচির এই ঘটনা নিয়ে মামলা গড়াল কলকাতা হাইকোর্টে। দোষীদের শাস্তির দাবিতে ও মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবিতে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী ফিরদৌস সামিম। প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করণ নায়ার ও রাধাকৃষ্ণণের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
আইনজীবীর বক্তব্য, ‘ভোটদানের সময় ভোটারদের ওপর যেভাবে গুলি চালানো হয়েছে, তা বেআইনি এবং নজিরবহীন। মামলাকারীর তরফে অত্যন্ত ক্ষোভের সঙ্গে জানানো হয়েছে যে, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য পাঠানো হয়েছে৷ তারা সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছেন। নিরীহ মানুষদের গুলি করে হত্যা করেছে। চতুর্থ দফার ভোটের দিন পৃথক দু’টি ঘটনায় মোট পাঁচজন মারা গিয়েছেন। কোচবিহারের শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে যাঁদের মারা হয়েছে, তাঁরা কেউ সন্ত্রাসবাদী নন। যে আচরণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফে করা হয়েছে, তা সংবিধানের ১৪, ১৯ এবং ২১ নম্বর ধারার সাম্য, স্বাধীনতা ও জীবনের অধিকারের বিরোধী। ‘
তাঁর দাবি, সেই ঘটনার ফলে সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এখনও চার দফা ভোট বাকি আছে। কিন্তু, শীতলকুচির ঘটনা সাধারণ মানুষের মনে ভীতির পরিবেশ তৈরি করেছে। আইনজীবীর আশঙ্কা, এরফলে আগামী দফাগুলোতে ভোটদান থেকে বিরত থাকতে পারেন অনেক মানুষ। তাছাড়া, যাঁরা আপনজনদের হারিয়েছেন, তাঁদের আর কোনও দিনও ফিরে পাবেন না। এই পরিস্থিতিতে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার পাশাপশি অবিলম্বে তাঁদের ভোটের কাজ থেকে বিরত রাখারও আবেদন জানিয়েছেন আইনজীবী।