বিশ্বের সবচেয়ে কার্যকরী প্রতিষেধক হল ফাইজ়ার। কার্যকরিতার হার ৯৫ শতাংশ। আসতে পারে ভারতের বাজার এ
কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা চলছে ফাইজ়ারের। এই অবস্থায় নির্মাতা সংস্থা জানিয়েছে, ফাইজ়ার ভ্যাকসিনে নিরাপত্তা নিয়ে যে কোনও প্রশ্ন নেই, তা কেন্দ্রকে জানিয়েছে তারা। যেখান থেকে ফাইজ়ারের ভারতে ছাড়পত্র পাওয়ার জল্পনা আরও প্রবল হচ্ছে।বিশ্বের সবচেয়ে কার্যকরী প্রতিষেধক হল ফাইজ়ার। কার্যকরিতার হার ৯৫ শতাংশ। কয়েকমাস আগেই ভারতে আপদকালীন অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছিল এই সংস্থা। কিন্তু ডিসিজিআই ছাড়পত্র এখনও মেলেনি। তবে রাশিয়ার স্পুটনিক ভি-কে অনুমোদন দেওয়ার পর কেন্দ্র জানিয়েছিল বিদেশি ভ্যাকসিনগুলিকে ফাস্ট ট্র্যাক অনুমোদন দেবে তারা। তবে শর্ত একটাই ভ্যাকসিনের নির্মাতা সংস্থাকে ভারতে ১০০ জনের ওপর হলেও ট্রায়াল করতে হবে। গত নভেম্বর মাসের ১৮ তারিখ সবার আগে তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল সম্পূর্ণ করে তথ্য প্রকাশ করে ফাইজ়ার। ব্রিটেন ফাইজ়ারকে অনুমোদন দেয় ৩ ডিসেম্বর। তারপর ৯ ডিসেম্বর অনুমোদন দেয় কানাডা। ১১ ডিসেম্বর মার্কিন এফডিএর অনুমোদন পায় ফাইজ়ার। এরপরও সৌদি আরব, মেক্সিকো-সহ একাধিক দেশ অনুমোদন দিয়েছে ফাইজ়ারকে। ২১ ডিসেম্বর ফাইজ়ারকে অনুমোদন দেয় ইউরোপীয়ান মেডিসিন এজেন্সি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও আপদকালীন অনুমোদন দেয় ফাইজ়ারকে। ফাইজ়ার দাবি করেছিল তাদের করোনা প্রতিষেধক ৯৪ শতাংশেরও বেশি কার্যকরী। নতুন ‘স্ট্রেনের’ বিরুদ্ধেও ফাইজ়ার কার্যকরী হবে বলে আশাবাদী বায়োএনটেক প্রধান। তবে ফাইজ়ারের টিকা সংরক্ষণ করতে হয় অত্যাধিক ঋণাত্মক তাপমাত্রায়, প্রায় মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে।যদিও ভারতে ছাড়পত্রের জন্য করা আবেদনে ফাইজ়ার জানিয়েছে, তাদের প্রতিষেধক ৯৫ শতাংশ কার্যকরী। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতে ফাইজ়ারের অনুমোদনের ক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে সংরক্ষণের এই তাপমাত্রা। যদিও ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থা জানিয়েছে, একটু বেশি তাপমাত্রাতেও সতেজ থাকবে, ভ্যাকসিনের এমন বিশেষ ডিজাইনও ভারতের হাতে তুলে দিতে পারে তারা।