ভোটের আগে শক্তি হারাল সংযুক্ত মোর্চা, আইএসএফের বেশ কয়েকজন সদস্য যোগ দিলেন তৃণমূলে
বাংলায় শুরু হয়ে গিয়েছে একুশের ভোটযুদ্ধ। প্রথম দফার ভোট হয়েছে ২৭ মার্চ শনিবার। আগামী ১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফার ভোট হবে। ওইদিনই হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রামের ভোট। তার আগে তৃণমূল ভবনে এসে আইএসএফের বেশ কয়েকজন সদস্য যোগ দিলেন তৃণমূলে। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের হাত ধরে তাঁরা তৃণমূলে যোগদান করেন।
সোমবার ফিরহাদ হাকিমের হাত থেকে পতাকা তুলে নেন আইএসএফের সদস্য কওসর আলি মল্লিক ওরফে হাজি মহম্মদ, আবদুল মেনন, আবদুল মাহবুদ প্রমুখ। সিপিএমের সঙ্গে আইএসএফের জোট নিয়ে আদর্শগত আপত্তি থাকার কারণেই এই দলত্যাগের সিদ্ধান্ত বলে জানান তাঁরা। এর ফলে ভোটের আগে শক্তি হারাল বাম-কংগ্রেস জোটে সামিল হওয়া আব্বাস সিদ্দিকির আইএসএফ।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি নতুন দল গড়েন। সেই ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ এবার বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। কংগ্রেস আইএসএফের অন্তর্ভুক্তি ভালোভাবে নেয়নি। ভালোভাবে নেয়নি আইএসএফের অনেক নেতাও।
হাজি মহম্মদ, আবদুল মেনন, আবদুল মাহবুদ-রা বামেদের সঙ্গে আইএসএফের অন্তর্ভুক্তি মেনে নিতে পারেননি। তাই তাঁরা ভোটের আগে দলবদলের সিদ্ধান্ত নিলেন। তাঁরা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। হাজি সাহেব ছিলেন আইএসএফের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং দুই ২৪ পরগনার পর্য়বেক্ষক। আবদুল মেনন, আবদুল মাহবুদ ছিলেন আইএসএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।
‘কমরেড’ আব্বাস সিদ্দিকির অধীনে রাজনীতি নয়
আইএসএফের গুরুত্বপূর্ণ তিন সদস্য বলেন, এর আগে বামেদের বিরুদ্ধে মমতার পাশে দাঁড়িয়েছেন আব্বাসরা। এখন তারা আবার মমতার বিরুদ্ধে গিয়ে ফের বামেদেরই হাত ধরছে। তাহলে কীভাবে সমর্থন যোগ্য হয় আইএসএফ। তাঁরা ‘কমরেড’ আব্বাস সিদ্দিকির অধীনে আর রাজনীতি করতে চান না। তাই তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে যোগ দিয়েছেন