সন্ত্রাসের কবলে কাবুল
সন্ত্রাসের কবলে কাবুল। বিস্ফোরণে কাঁপছে কাবুল। পরপর ৩ বিস্ফোরণে কাবুলে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৭২। মৃতদের মধ্যে ১৩ মার্কিন সেনাও রয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ১৫০ জন। কাবুল বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে আইএস জঙ্গিগোষ্ঠী। কাবুলে বিস্ফোরণের ফলে এখনও পর্যন্ত কোনও শিখ কিংবা হিন্দুর মৃত্যু হয়নি বলেই খবর। মৃত্যু হতে পারত প্রায় ১৬০ জন হিন্দু এবং শিখের। কিন্তু বরাত জোরে এ যাত্রায় বেঁচে গিয়েছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, গুরুদ্বারে আশ্রয় নিয়ে নিজেদের প্রাণ রক্ষা করেছেন ১৬০ জন হিন্দু ও শিখ। কাবুল বিমানবন্দরে পূর্ব দিকের গেটে বিস্ফোরণ ঘটে। আর বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে ওই গেটের কাছেই বসে ছিলেন ১৫ জন হিন্দু সহ ১৪৫ জন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ। তালিবান তাণ্ডবের হাত থেকে বাঁচতেই তাঁরা কাবুল ছেড়ে অন্যত্র যাওয়ার জন্যই বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা আগে বিমানবন্দর ছেড়ে স্থানীয় এক গুরুদ্বারে আশ্রয় নেন ১৫ জন হিন্দু সহ ১৪৫ জন শিখ নাগরিক।
শিখ গুরুদ্বারা ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি মজিন্দর সিং শিরসা টুইটে লেখেন, ‘প্রায় ১৬০ জন হিন্দু এবং শিখ নাগরিকের দলটি কোনওক্রমে কাবুল বিস্ফোরণের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। গতকাল ওঁরা কাবুল বিমানবন্দরের যে জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলেন, বিমানবন্দরের ঠিক ওই জায়গাতেই বিস্ফোরণটা ঘটেছে। আমরা পরমেশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই যে বিমানবন্দরে ওঁরা থাকাকালীন এরকম কিছু হয়নি।’
বিস্ফোরণের পর থেকে সিল করে দেওয়া হয়েছে কাবুল বিমানবন্দর। আর এই ঘটনায় গর্জে উঠেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই ঘটনায় বদলা চান জো বাইডেন। কাবুল বিমানবন্দরে আত্মঘাতী বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। হামলাকারীদের উদ্দেশে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘আমরা ক্ষমা করব না। এই ঘটনা ভুলবও না। খুঁজে বের করব এদেরকে। এর মূল্য চোকাতে হবে। কেউ রেহাই পাবে না। আইএসআইএস-খোরাসান (ISIS-K)-কে যোগ্য জবাব দেওয়ার পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে আমেরিকা।’