স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে হিন্দু-মুসলিম বিবাহ বৈধ নয়
হিন্দু যুবতীর পরিবার এই বিয়েতে বেঁকে বসে। কোনও ভাবেই মুসলিম যুবকের সঙ্গে বিয়ে হোক মেয়ের, কোনও ভাবেই চাননি তাঁরা। আদালত পর্যন্ত গড়ায় বিষয়টি। তবে শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টও হিন্দু যুবতী ও মুসলিম যুবকের বিয়ের আবেদন বাতিল করে দিল। এমনকী পুলিশি সুরক্ষায় বিয়ের রেজিস্ট্রেশনের আবেদনও খারিজ করল আদালত।একজন মুসলিম যুবক ও একজন হিন্দু যুবতীর মধ্য়ে বিয়ে নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ রায় দিল মধ্য প্রদেশ হাইকোর্ট। মধ্য় প্রদেশ হাইকোর্টের রায়, একজন মুসলিম যুবক ও একজন হিন্দু যুবতীর মধ্য়ে বিয়ে ‘মুসলিম পার্সোনাল ল’ অনুযায়ী বৈধ নয়। আদালত ১৯৫৪-এর বিশেষ বিবাহ আইনের অধীনে পারস্পরিক বিশ্বাসে বিয়ের রেজিস্ট্রেশনের জন্য পুলিশি সুরক্ষার আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে। রায় দিতে গিয়ে বিচারপতির মন্তব্য, ‘একজন মুসলিম পুরুষ এবং একজন হিন্দু মহিলা বিশেষ বিবাহ আইনের অধীনে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হলেও মুসলিম আইনের অধীনে তা নিয়ম বহির্ভূত হিসেবে গণ্য় করা হবে।’হাইকোর্টের মন্তব্য, ‘মহামেডান আইন অনুসারে, এমন একজন মহিলা যিনি মূর্তি পুজো করেন বা অগ্নির উপাসক তাঁর সঙ্গে একজন মুসলিম পুরুষের বিবাহ স্বীকৃত নয়। বিবাহটি বিশেষ বিবাহ আইনের অধীনে নিবন্ধিত হলেও এই বিয়ে স্বীকৃত নয়।’পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছিল, মুসলিম যুবকের বিয়ে করার জন্য বাড়ি থেক গয়না চুরি করে পালিয়েছিল তাঁদের পরিবারের মেয়ে। বিশেষ বিবাহ আইনের অধীনে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন যুগল। কিন্তু, মহিলা বিয়ের জন্য অন্য ধর্ম গ্রহণ করতে চাননি। অন্যদিকে যুবকও তাঁর ধর্ম পরিবর্তন করতে চাননি, জানিয়েছেন তাঁদের আইনজীবী।
ওই যুবকের আইনজীবী আদালতের আর্জি জানিয়েছিলেন, বিশেষ বিবাহ আইনের অধীনে বিয়ের রেজিস্ট্রেশনের জন্য ম্যারেজ অফিসারদের সামনে পুলিশি সুরক্ষার দেওয়া হোক। যদিও তা খারিজ করে দেয় আদালত।
হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘বিশেষ বিবাহ আইনের অধীনে এমন বিবাহকে বৈধতা দেওয়া যাবে না যা পার্সোনাল ল বা ব্য়ক্তিগত আইনের অধীনে নিষিদ্ধ। ‘ যুগলের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। ‘বার ও বেঞ্চে’-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুগল নিজ নিজ ধর্ম পরিবর্তন করতে বা লিভ-ইন সম্পর্ক রাখতে ইচ্ছুক নয়।