শুভেন্দু গড়ে দাঁড়িয়ে নন্দীগ্রাম আন্দোলনে শুভেন্দুর অবদান নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন ববি হাকিম
একেবারে খোদ শুভেন্দুর গড়ে গিয়ে সভা করলেন ফিরহাদ হাকিম ও সৌগত রায়। কাথিঁতে দুই নেতাই তীব্র ভাষায় সদ্য প্রাক্তন তৃণমূল নেতাকে আক্রমণ করেন। তবে বক্তব্যে ঝাঁঝ বেশি ছিল ফিরহাদের। রীতিমত নন্দীগ্রাম আন্দোলনে শুভেন্দুর অবদান নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন মন্ত্রী।
ফিরহাদ বলেন যে সুফিয়ানরা শুরু করেছিলেন নন্দীগ্রামের আন্দোলন, কিন্তু নেতা বনে গেলেন শুভেন্দু। বিজেপিতে পরিবারতন্ত্রের বিভিন্ন উদাহরণ তুলে ধরে মমতার বিরুদ্ধে আনা শুভেন্দুুর অভিযোগকে ভোঁতা করার চেষ্টা করেন ববি। শুভেন্দু নিজেও যে পরিবারবাদের সুফল পেয়েছেন সেটা মনে করিয়ে তিনি বলেন, শিশির অধিকারী না থাকলে শুভেন্দু অধিকারী টিকিট পেতেন না। ওই বাড়িতে বসে থাকতে হত,কেউ চিনত না। শিশিরবাবুর জন্যই শুভেন্দু টিকিট পেয়েছিলেন দাবি করেন তৃণমূল নেতা।
মাঠে ভালো ভিড় দেখে ফিরহাদের আশা যে পূর্ব মেদিনীপুরে ক্লিন সুইপ করবে তৃণমূল আগামী নির্বাচনে। দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করার জন্য ফিরহাদ দাবি করেন যে শুভেন্দু অধিকারীর প্রস্থানে সবাই খুব খুশি, বলছে বেঁচে গেছি। কোলাঘাট দিয়ে ঢোকার সময়ই তিনি সেটা টের পেয়েছিলেন, বলে দাবি করেন তিনি। ফিরহাদ বলেন শুভেন্দু ধান্দাবাজির জন্য দল ছাড়লেন না জেলে ঢোকার ভয়, সেটা ভবিষ্যতেই বলবে। তবে কিছুটা আবেগতাড়িত হয়ে কলকাতার পুর প্রশাসক বলেন যে শুভেন্দু যখন অমিত শাহের পা ধরল, মনে হচ্ছিল এই দিন দেখার চেয়ে মৃত্যু হওয়া অনেক ভালো ছিল। শুভেন্দু একদা যে তাঁর সহকর্মী ছিলেন, সেটাই বলতে লজ্জা করে বলে দাবি ফিরহাদ হাকিমের।
নন্দীগ্রামে যিনি কৃষক আন্দোলন করেছিলেন, তিনি কীভাবে বিজেপির হাত ধরেন যারা নয়া কৃষি আইন এনেছে, সেই নিয়েও প্রশ্ন করেন ফিরহাদ। তিনটি নতুন আইন নিয়ে তৃণমূলের কিসে আপত্তি, সেটাও ব্যাখ্যা করে বলেন তিনি। সব মিলিয়ে নন্দীগ্রাম আন্দোলনে শুভেন্দুর অবদানকে লঘু করা ও নয়া কৃষি আইন নিয়ে তাঁর চাষীবন্ধু ইমেজকে ধাক্কা দেওয়া, এই জোড়া নীতি নিয়ে চলবে তৃণমূল, এদিনের সভায় সেটা সাফ হয়ে গেল।