শুভেন্দুর দলবদলের প্রভাব! পূর্ব মেদিনীপুরের পরিস্থিতি যাচাইয়ে তৃণমূলের বৈঠকে যা উঠে এল
১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায় শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন জেলার এক তৃণমূল বিধায়কও। পরবর্তী সময়ে আরও অনেক নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, শুভেন্দু অধিকারীর দলবদলে পূর্ব মেদিনীপুর তৃণমূলে সেরকম কোনও প্রভাব পড়েনি।
তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন যাঁরা
ডিসেম্বরে ১৯ তারিখে মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের মাঠে অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। সেদিন তাঁর সঙ্গে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর তৃণমূলের একাধিক নেতা ছাড়াও অন্তত ৮০ জন নেতা ও জনপ্রতিনিধি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। সেইদিন বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর কনিষ্ক পণ্ডা, সেদিন বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন উত্তর কাঁথির বিধায়ক বনশ্রী মাইতিও। দিন কয়েক আগে কাঁথির সভায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, কাঁথির প্রাক্তন পুর প্রশাসক সৌমেন্দু অধিকারী। এখন প্রতিদিনই পূর্ব মেদিনীপুর থেকে কেউ না কেউ বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। ইতিমধ্যেই দলবদলের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে এলাকায়। সোমবার বাজকুল কলেজ চত্বরে এবিভিপি এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। দুটি বাইক পোড়ানো হয়। এমন ঘটনা এর আগে এলাকায় ঘটেনি বলেই জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
শুভেন্দু দল ছাড়ার পরে দলে লোক যোগ দিচ্ছে
অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীর দলবদলে দলের শ্রীবৃদ্ধি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন, পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূল কো-অর্ডিনেটর অখিল গিরি। শুভেন্দু অধিকারী একানায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিলেন বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। অন্যদিকে অখিল গিরির এই দাবি নিয়ে, পাল্টা কটাক্ষ করেছেন বর্তমানে বিজেপি নেতা কনিষ্ক পণ্ডা। তিনি বলেছেন, অখিল গিরি রামনগরের আসনটা ধরে রাখতে পারবেন তো?
তৃণমূলের পর্যালোচনা বৈঠক
গত কয়েকদিনে দলবদলে জেলা তৃণমূলের কতটা ক্ষতি হল তা নিয়েই সোমবার কার্যত বৈঠক করে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন, পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পরিষদের ২৫ টি ব্লকের ব্লক সভাপতি, পঞ্চায়েত সমিতি, পুরসভা এবং জেলা পরিষদের প্রতিনিধিরা। এব্যাপের জেলাপরিষদের সভাধিপতি জানিয়েছেন, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ঘাসফুল শিবির দেখে নিতে চাইছে, কারা দলে থাকবেন, আর কারা থাকবেন না।
৯০ শতাংশ জনপ্রতিনিধি উপস্থিত
জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অর্ধিন্দু মাইতি দাবি করেছেন, সোমবারের বৈঠকে অন্তত ৯০ শতাংশ জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। আর যাঁরা আসেননি, তাঁদের অনেকেই না আসার কারণ জানিয়েছেন জেলা নেতৃত্বকে। জানা গিয়েছে, বৈঠকে জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুপস্থিত থাকলেও, হাজির ছিলেন শুভেন্দু অনুগামী বলে পরিচিত আনন্দময় অধিকারী এবং মধুরিমা মণ্ডল।