শুভেন্দু অধিকারীর কোলাঘাটের ভাড়া বাড়িতে পুলিশি তল্লাশি, উত্তেজনা তুঙ্গে
শুভেন্দু অধিকারীর কোলাঘাটের ভাড়া বাড়িতে পুলিশি তল্লাশি, উত্তেজনা তুঙ্গে
ষষ্ঠদফার নির্বাচনের আগে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুভেন্দু অধিকারীর। সেখান থেকে তিনি জেলা পুলিশকে নিশানা করেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিশানা করেন। তিনি দাবি করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যাচারের শিকার তিনি।
জানা গিয়েছে, কোলাঘাটে একটি ভাড়া বাড়ি রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। সেখানেই এদিন বিকেলে পুলিশ হানা দেয়। প্রায় ৭০-৮০ জন পুলিশ কর্মী সেই বাড়িতে তল্লাশি চালায় বলে জানা গিয়েছে। এব্যাপারে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, তাঁকে অস্ত্র ও মাদক দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
পুলিশের দাবি
এদিন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের সূত্র থেকে দাবি করা হয়েছে, নির্দিষ্ট তথ্যের ওপরে ভিত্তি করে এক দুষ্কৃতীকে ধরতে কোলাঘাটের নির্দিষ্ট একটি বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। দলে ৭০-৮০ জন পুলিশ কর্মী ছিলেন। তাঁরা সেই বাড়িতে তল্লাশি চালান। তবে সেই বাড়িটি শুভেন্দু অধিকারীর ভাড়া বাড়ি বলে তারা নাকি জানতেন না বলেই দাবি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের একটি অংশের।
শুভেন্দু অধিকারী প্রতিক্রিয়া
এদিন কেশপুরে সভা করতে যাওয়ার সময় শুভেন্দু অধিকারী কোলাঘাটের ভাড়া বাড়িতে পুলিশের তল্লাশির খবর পান। তিনি কেশপুরের সভা শেষ করেই কোলাঘাটের উদ্দেশে রওনা হয়ে যান। এরপর কোলাঘাট থানায় বিক্ষোভ অবস্থান করেন। যে কারণে সেই সময় ঘাটালের খড়ারে সভা থাকলেও যেতে পারেননি। তিনি কোলাঘাট থানার সামনে থেকেই ঘাটালের সভায় উপস্থিত দলীয় কর্মী-সমর্থক থেকে সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন।
ফাঁসানোর চেষ্টা
এদিন কোলাঘাট থানার সামনে থেকে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, কোলাঘাটের বাড়িতে তাঁর বেডরুমে তল্লাশি চালানো হয়েছে। সেখানে তাঁর অনুপস্থিতিতে অস্ত্র-মাদক রেখে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগও করেছেন বিরোদী দলনেতা। কোনও সাংবাদিক না ডেকে, কোনও ভিডিওগ্রাফি ছাড়াই তল্লাশির তীব্র বিরোধিতা করেন বিরোধী দলনেতা।
আদালতের প্রোটেকশন রয়েছে
বিরোধী দলনেতা এদিন দাবি করেছেন, আদালতের থেকে তাঁর প্রোটেকশন রয়েছে। আদালতের কপি দেখিয়ে তিনি বলেন, হাইকোর্ট তাঁকে প্রোটেকশন দেয়। যার বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। কিন্তু সেখানেই প্রোটেনশকন বজায় রাখা হয়। তারপরেও বাড়িতে তল্লাশি নিয়ে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, নন্দীগ্রামের বাড়িতেও পুলিশ না জানিয়ে গিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে বুধবার হাইকোর্টে জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি
এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যখন কোলাঘাট থানায় যান, সেই সময় কোনও পদাধিকারীই সেখানে ছিলেন না। শুভেন্দু অধিকারী প্রথমেই নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে দাবি করেন, থানার আইসিকে শুধু বদলি করলেই হবে না, সাসপেন্ড করতে হবে। আর এই তল্লাশির কথা যদি এসপি জানেন, তাহলে তাঁকেও সাসপেন্ড করার দাবি তোলেন বিরোধী দলনেতা।
মমতা-অভিষেককে নিশানা
শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, আইপ্যাককে সঙ্গে করে তল্লাশি অভিযান হয়। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি হারিয়েছিলেন। এবার তাঁকে প্রাক্তন করবেন। আর ভাইপোকে কোমড়ে দড়ি পরিয়ে তিহারে কেষ্ট মণ্ডলের সঙ্গে রাখবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন বিরোধী দলনেতা।