স্বামী আত্মস্থানন্দকে তাঁর জন্মশতবর্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
স্বামী আত্মস্থানন্দকে তাঁর জন্মশতবর্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কলকাতার নজরুল মঞ্চের এই জন্মশবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে একটি ভাষণে বলেন যে দেবী কালীর আশীর্বাদ সর্বদা দেশের সাথে রয়েছে, যা বিশ্বের কল্যাণে আধ্যাত্মিক শক্তি নিয়ে এগিয়ে চলেছে। রামকৃষ্ণ মিশনের আয়োজিত স্বামী আত্মস্থানন্দের শতবর্ষ উদযাপনে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব দেবী কালীর দর্শন পেয়েছিলেন এবং তিনি বিশ্বাস করতেন যে সবকিছুই তাঁর চেতনার ফল। মা কালীর চরণে যিনি তাঁর সমস্ত সত্তা সমর্পণ করেছিলেন। তিনি বলতেন এই সমস্ত জগত্, দেবীর চেতনায় সর্বত্র বিরাজমান। এই চেতনা বাংলার কালীপূজায় দৃশ্যমান।এই চেতনা দৃশ্যমান বাংলা এবং দেশের বাইরেও”।
মোদী তার ভাষণে আরও বলেলেন, “যখনই আমি সুযোগ পেয়েছি, আমি বেলুড় মঠ এবং (দখিনেশ্বর) কালী মন্দির (নদীর ওপারে) পরিদর্শন করেছি; এর সঙ্গে আত্মার যোগ আমি অনুভব করেছি। যখন আপনার বিশ্বাস খাঁটি হয়, তখন শক্তির দেবী নিজেই আপনাকে পথ দেখান। মা কালীর সীমাহীন আশীর্বাদ সর্বদা ভারতের সাথে থাকে। বিশ্ব কল্যাণে এই আধ্যাত্মিক শক্তি নিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।”
তিনি বলেন শত বছর আগের শঙ্করাচার্য হোক বা আধুনিক যুগের স্বামী বিবেকানন্দ হোক আমাদের সাধু ঐতিহ্য সর্বদা এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত ঘোষণা করে। স্বামী বিবেকানন্দজি মহান সাধু ঐতিহ্য, সন্যাস ঐতিহ্যকে আধুনিক রূপে প্রণয়ন করে ছিলেন। স্বামী আত্বস্থানন্দজিও এই সন্যাস জীবন ধারণ করেছিলেন এবং চরিতার্থ করেছিলেন। তিনি 1938 সালে বেলুড় মঠে শ্রী রামকৃষ্ণের সরাসরি শিষ্য স্বামী বিজ্ঞানানন্দের কাছ থেকে মন্ত্র দীক্ষা, আধ্যাত্মিক দীক্ষা লাভ করেন। শ্রীরামকষ্ণ পরমহংসের মতো এক সাধকের জাগ্রত উপলব্ধি, আধ্যাত্মিক শক্তি তাঁর মধ্যে বিরাজমান ছিল।
তিনি বলেন, “আমাদের ঋষিরা আমাদের দেখিয়েছেন যে আমাদের চিন্তাভাবনা যখন বড় প্রকৃতির হয়, তখন আমাদের সমস্ত প্রচেষ্টাতেই অনেক মানুষ আমাদের পাশে এসে দাঁড়ায়। আপনি দেখতে পাবেন যে ভারতের এমন অনেক সাধক রয়েছেন যাদের ভাঁড়ার শূন্য অথচ তাঁদের কাজের পরিধি বিশাল।”