স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের হিসেব ও তথ্যের গরমিল নিয়ে রাজ্যের কাছে হলফনামা তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের হিসেব ও তথ্যের গরমিল নিয়ে মামলায় আগামী ১৪ মে র মধ্যে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য এবং অর্থ দফতরের সেক্রেটারিকে বিস্তারিত তথ্য হলফনামা আকারে পেশ করতে হবে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করণ নায়ার রাধাকৃষ্ণাণ ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। পাল্টা ২১ মে র মধ্যে জবাবি হলফনামা দিতে হবে মামলাকারীকে। মামলার পরবর্তী শুনানি জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে।
প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের হিসেব ও তথ্যের গরমিল তুলে ধরে, প্রায় ২০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারির অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন দুই সমাজকর্মী অজয় কুমার প্রাসাদ ও অজয় মান্না।
শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে মামালাকারীর তরফে আইনজীবী অজিত কুমার মিশ্র ও আইনজীবী স্মরজিৎ রায় চৌধুরী এই বিরাট অঙ্কের আর্থিক কেলেঙ্কারির হিসেব কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ক্যাগ) কে দিয়ে করানোর আর্জি জানিয়েছেন মামলাকারিরা। পাশাপাশি, স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সরকারি ওয়েব সাইটে যে সংখ্যক স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করানো হয়েছে বলে রাজ্য দাবি করছে সেই সংখ্যক কার্ড হয়নি। এছাড়াও মামলাকারীদের অভিযোগ, রাজ্যের গাফিলতির কারণে বহু মুমূর্ষু রোগীকে হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এর বিরোধিতা করে মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের তরফে এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। তার দাবি, শুধুমাত্র সংবাদ মাধ্যমে প্রচার এর জন্যই এই মামলা দায়ের হয়েছে। এখানে মানুষের কোন স্বার্থ নেই। তবে মামলাকারীর আইনজীবীদের দাবি, মামলায় যে নথি পেশ করা হয়েছে সবটাই রাজ্যের ওয়েবসাইট থেকে তথ্য নিয়ে। রাজ্যে যে সংখ্যক মানুষের হাতে যে সংখ্যক স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানান হচ্ছে, আর যে সংখ্যক কার্ড দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৯০ জনই নাকি কার্ড পায়নি। অন্যদিকে, যে সংখ্যার রোগী এতে সুবিধা পেয়েছে বলা হয়েছে, তাতেও গরমিল রয়েছে। এবং রাজ্য সরকার যে খরচের হিসেব রাজ্যের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে তাতেও গরমিল রয়েছে। সরকারি ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রায় ১৮৮.৯০ কোটি টাকা গড়মিল আছে।