সোমবার তালিবান প্রধান আবদুল গলি বরাদরের সঙ্গে গোপনে বৈঠক করেছেন সিআইএ প্রধান উইলিয়াম বার্নস।
চীন, রাশিয়া, পাকিস্তান আগেই সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। তলে তলে এবার কি আমেরিকাও তালিবানদের সঙ্গে শলা পরামর্শ করে রাখছে! মঙ্গলবার মার্কিন সংবাদ মাধ্যমের একটি রিপোর্ট সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে। সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, সোমবার তালিবান প্রধান আবদুল গলি বরাদরের সঙ্গে গোপনে বৈঠক করেছেন সিআইএ প্রধান উইলিয়াম বার্নস।
কাবুলে গিয়ে সেই বৈঠক করেছেন বার্নস চুপিসারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সবথেকে অভিজ্ঞ কূটনীতিক হলেন বার্নস। তাঁকে যে বিশেষ ভরসা করেই কাবুলে পাঠানো হয়েছে, তা আর বলে দিতে হয় না। যদিও মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ–র তরফে এই নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। সংস্থার মুখপাত্র জানিয়েছে, ডিরেক্টরদের গতিবিধি প্রকাশ করার রেওয়াজ নেই।
প্রশ্ন উঠছে, ঠিক কী নিয়ে কথা হয়েছে বার্নস এবং বরাদরের? একটি সূত্র মনে করছে, সেনা সরানোর দিনক্ষণ নিয়ে কথা হতে পারে দু’জনের। ৩১ আগস্ট আফগানিস্তান থেকে নিজের দেশের নাগরিক, সেনা সরিয়ে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে আমেরিকা। আপাতত তাই কাবুল বিমানবন্দর নিজেদের দখলে রেখেছে তারা। কিন্তু যা পরস্থিতি, তাতে ৩১ আগস্টের মধ্যে মার্কিন নাগরিক এবং সেনা সরানো বাইডেন প্রশাসনের পক্ষে অসম্ভব। তাই সেই সময়সীমা একটু বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। কিন্তু তালিবান কড়া ভাষায় জানিয়েছে, আর এক দিনও অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে না। তালিবান মুখপাত্র সুহেল সাহিন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সেই সময়সীমা বাড়ানোর জন্যই বরাদরের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন বার্নস।