তিনদিনে প্রায় দুশো কুকুরের মৃত্যু, আতঙ্ক ছড়াল বিষ্ণুপুরে
হুগলির চণ্ডীতলার পর এবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর। ফের পথকুকুরের মৃত্যু ঘিরে ছড়াল চাঞ্চল্য। ১০–১৫ নয়, গত তিনদিনে প্রায় দুশোর কুকুরের মৃত্যু হয়েছে বিষ্ণুপুর পুর এলাকায়। স্বাভাবিকভাবেই এ ঘটনায় আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে চণ্ডীতলার মতো খাবারে বিষক্রিয়া নয়, বিষ্ণুপুরে কুকুরের মৃত্যু ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের জেরেই। এমনই অনুমান করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকরা শুক্রবার জানান, গত মঙ্গলবার বিষ্ণুপুর জুড়ে মৃত্যু হয়েছে ৬০টি সারমেয়র। বুধবার সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৭–এ। আর বৃহস্পতিবার ৪৫টি কুকুর মারা গিয়েছে। বিষ্ণুপুরের পুর প্রশাসক দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনকে এ ব্যাপারে অবগত করা হয়েছে। মৃত কুকুরগুলি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে কলকাতায়।
পশু চিকিৎসকদের অনুমান, ভাইরাস ঘটিত কোনও সংক্রমণের জেরেই এভাবে মৃত্যু হয়েছে পথকুকুরগুলির। তাঁদের মতে, মরশুমের এমন সময় এ ধরণের সংক্রমণ হয়ে থাকে। তবে এ থেকে মানুষ বা অন্য প্রাণীর সংক্রমণ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। এদিকে, জানা গিয়েছে, বিষ্ণুপুর পুরসভার ভাগাড়ে কুকুরগুলির মৃতদেহ সমাহিত করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালে হুগলির চণ্ডীতলার পার্শ্ববর্তী দুটি এলাকা মধ্যপাড়া ও পানপাড়ায় রাস্তা থেকে ১৫টি পথকুকুরের দেহ উদ্ধার হয়। তাদের চারপাশে ছড়িয়ে রয়েছে সরস্বতী পুজোর প্রসাদী খিচুড়ি আর শালপাতার থালা। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর দাবি, বিশ–মেশানো খিচুড়ি খাইয়ে মেরে ফেলা হয়েছে ওই কুকুরগুলিকে। তাঁরা অবিলম্বে দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।