আগামী ৫ তারিখের বৈঠকে দলের সাংগঠনিক রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।
এবার দল সাজানোর সময়। তাই নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর এই প্রথম দলের মেগা সাংগঠনিক বৈঠক করতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৫ জুন বেলা তিনটের সময় এই বৈঠক হবে। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে দলের সব নির্বাচিত বিধায়ক, সাংসদ, জেলা সভাপতিরা। ইতিমধ্যেই তাঁদের উপস্থিত থাকতে বলে বার্তা দেওয়া হয়েছে। এর আগে নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর দলনেতা নির্বাচন করতে তৃণমূল ভবনে বৈঠকে বসেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের পরিষদীয় দল। আগামী ৫ তারিখের বৈঠকে দলের সাংগঠনিক রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও দলীয় সূত্রে খবর। দলের তরফে ইতিমধ্যেই ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি ঘোষিত হয়েছে। অর্থাৎ, কোনও একজন নেতা একটি মাত্র পদেই থাকতে পারবেন। সাংসদ বা বিধায়ক পদে থাকলে দলীয় পদ থেকে সরতে হবে। সে ক্ষেত্রে বহু মন্ত্রী যাঁরা জেলা সভাপতি পদে আছেন তাঁদের পদ খোওয়ানোর সম্ভাবনা ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা। এমন অনেকেকই দলীয় পদ খোয়াতে হতে পারে। মমতা তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হলেও এ বার মমতার উত্থান রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এক অন্য বার্তা দিয়েছে। কার্যত মোদী বিরোধী নেত্রী হিসেবে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আলোচিত হচ্ছে তাঁর নাম। তাই এ দিনের বৈঠকে দল ও শাখা সংগঠনের উদ্দেশে মমতা কী বলেন সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। আগামিদিনে দিল্লির রাজনীতি নিয়ে দলনেত্রী কিছু বলেন কিনা সেটাও আলোচনার বিষয়। নরেন্দ্র মোদী র বিরুদ্ধে জোরালো মুখ হিসেবে বহু বিরোধী দলেরই পছন্দ মমতা। এছাড়া অনেক জায়গায় পুর নির্বাচন বাকি রয়েছে। সেই বিষয়টিতেও নজর দিতে পারেন সুপ্রিমো। মনে করা হচ্ছে, জাতীয় রাজনীতির পাশাপাশি এবার ঘরোয়া রাজনীতিকেও ঢেলে সাজাতে চাইছেন মমতা । ৫ জুন প্রথমে দুপুর ২ টোয় প্রথমে হবে কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক। পরে ৩ টেয় হবে সাংগঠনিক বৈঠক। বৈঠকে থাকবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, ফিরহাদ হাকিম, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ সব নেতা।