নন্দীগ্রাম কাণ্ডে তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ বিজেপির
আজ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করতে যান বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত এবং শিশির বাজোরিয়া। এর কয়েক মুহূর্ত আগেই নির্বাচন কমিশনে গিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলও। এদিন বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয় যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন তা সঠিক নয়। এদিন সব্যসাচী দত্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্রুত আরোগ্য কামনাও করেন। এরপরই সব্যসাচী অভিযোগ তেলেন, কেন ৪ জন আইপিএস অফিসার মমতাকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ?
পাশাপাশি এদিন বেশ কয়েকটি প্রশ্ন তোলেন সব্যসাচী দত্ত, শিশির বাজোরিয়ারা। এদিন সব্যসাচী দত্ত বলেন, ‘আমরা তো বলেছি প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়া হবে। তবে ওনার নিরাপত্তায় কী সিভিক পুলিশ ছিল? আর একজন এসপি কী করে ওনার সঙ্গে থাকবে। আদর্শ আচরণ বিধি লাগু হয়ে গেলে প্রচারের সময় কোনও নেতার সঙ্গে পুলিশ সুপার থাকতে পারেন না। যদি মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার হাল এই হয় তাহলে বাংলার বাকি মানুষদের কী হবে? আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলেছি ভিডিও জনসমক্ষে প্রকাশ করা হোক। সেই ভিডিওতো করেছে ওনার সঙ্গে প্রচারে থাকা লোকরাই। তাতে তো কারোর আপত্তি থাকতে পারে না। তাহলে সব সত্যি বেরিয়ে আসবে।’
নির্বাচন কমিশনে যান তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরাও
এদিকে এদিন নির্বাচন কমিশনে যান তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। এদিন তাঁরা অভিযোগ করেন, মমতার উপর আঘাতের আভাস মিলেছিল বিজেপি সাংসদদের কথাতেই৷ এমনই দাবি করলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ নন্দীগ্রামের ঘটনার দায় নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে বলে দাবি করেন তিনি৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে আজ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূল প্রতিনিধি দল৷ পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও ডেরেক ও’ব্রায়েন ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও ছিলেন প্রতিনিধি দলে৷ নন্দীগ্রামের ঘটনা নিয়ে কমিশনকে চিঠি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সামনে পার্থ বলেন, ‘প্রথমে এডিজি আইনশৃঙ্খলাকে অপসারণ করা হল৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের প্রার্থী হওয়ার পর অপসারিত হলেন ডিজি৷ আর তার ঠিক পরই দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর উপর এমন আঘাত নেমে এল৷ বিজেপি সাংসদদের বক্তব্যে আগেই এটা পরিষ্কার ছিল যে তৃণমূল নেত্রীর উপর আক্রমণ হতে পারে৷ এই হামলার দায়িত্ব কার? রাষ্ট্রশক্তি দিয়ে রাজ্যকে নিয়ন্ত্রণের এই প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা করছি৷’
পার্থর আরও অভিযোগ, ‘দায়িত্ববান পুলিশ অফিসারদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে৷ দিনদিন আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে৷ বাংলাকে এত উপেক্ষা কেন? এর দায়িত্ব কমিশনকে নিতেই হবে৷ বিজেপি প্রতিনিধিরা যা বলছেন, পরদিন সেই কাজই করছে কমিশন৷ এর ফলে তাদের দক্ষতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷