ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দিল রাশিয়া।
গত বৃহস্পিতবার ইউক্রেনে হামলা করে রাশিয়া। তারা যদিও বলে ‘বিশেষ সেনা অভিযান’। সে সময় ইউক্রেনে আটকে ছিলেন প্রায় ১৬ হাজার ভারতীয়। এর পর থেকে ধীরে ধীরে সেদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করা হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১,৩০০ জনের বেশি নাগরিককে বিমানে চাপিয়ে দেশে ফেরানো হচ্ছে। তবু আটকে রয়েছে হাজার হাজার। তাঁদের এবার নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দিল রাশিয়া। জানাল ‘মানব করিডোর’ করে ভারতীয় নাগরিকদের নিয়ে আসা হবে রাশিয়ায়।
বুধবার মস্কোর তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়, খারকিভ, সুমি সহ ইউক্রেনের যুদ্ধবিধ্বস্ত অংশে আটকে পড়া ভারতীয়দের নিরাপদে রাশিয়ায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। ভারতে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত ডেনিস আলিপোভ জানালেন, এই বিষয়ে দিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে মস্কো। দ্রুত আটকে পড়া ভারতীয়দের ইউক্রেন থেকে বের করে আনা হবে। সেজন্য কোরিডোর তৈরি করা হচ্ছে। সেই নিয়েই এখন পরিকল্পনা চলছে। পাশাপাশি তিনি আশ্বাস দেন, ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে ভারতকে এস–৪০০ ট্রায়াম্ফ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহে বিলম্ব করবে না রাশিয়া। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে (এস–৪০০ সরবরাহ) মস্কো–দিল্লির চুক্তি কোনও বাধার উপর নির্ভরশীল নয়। এই চুক্তি ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার উপর নির্ভরশীল।’
এই অস্ত্র চুক্তির কারণেই কি ভারতীয়দের সাহায্য করছে মস্কো? জবাবে আলিপোভ যদিও জানিয়েছেন, একেবারেই তাই নয়। ভারত সব বুঝেই নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে। তিনি এও বললেন, যে বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভারতীয়দের উদ্ধারের বিষয়ে সব কিছু দিল্লিকে জানাবে রাশিয়া।
এদিকে টুইটারে ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাস লিখেছে, এখনই খারকিভ ছাড়তে হবে ভারতীয় নাগরিকদের। তাঁদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার জন্যই এই কাজ করতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, পৌঁছতে হবে বাবায়ে, পেসোচিন এবং বেজলিউডোভকায়। ইউক্রেনীয় সময় সন্ধে ৬টার মধ্যে এই কাজ করতে হবে।
এও বলা হয়েছে, কোনও যানবাহন না পেলে পায়ে হেঁটে এই তিন জায়গায় পৌঁছতে হবে। পিসোচিনের দূরত্ব ১১ কিলোমিটার। বাবায়ের দূরত্ব খারকিভ থেকে ১২ কিমি। আর বেজলিউডোভকার দূরত্ব ১৬ কিলোমিটার।
তার পরেই রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে খারকিভের ভারতীয়দের মধ্যে। প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর হল এই খারকিভ। সব থেকে বেশি মেডিকেল কলেজ রয়েছে সেখানেই।