উত্তরবঙ্গের ৬৩% আসনে নয়া প্রার্থী তৃণমূলের
উত্তরবঙ্গের ৬৩% আসনে নয়া প্রার্থী তৃণমূলের
উত্তরবঙ্গে মোট আসন সংখ্যা ৫৪। তার মধ্যে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ৩৪ জন প্রার্থীকে বদল করল তৃণমূল কংগ্রেস। যা শতাংশের নিরিখে প্রায় ৬৩। একইসঙ্গে গতবার তৃণমূলের জেতা ১১ টি আসনেও প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে।
কিন্তু একসঙ্গে এত পরিবর্তন কেন? রাজনৈতিক মহলের মতে, লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের আট জেলায় চূড়ান্ত বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছিল তৃণমূলকে। রাজ্যের উত্তর ভাগে পুরোপুরি বিজেপির ঝড় উঠেছিল। মাত্র হাতেগোনা কয়েকটি বিধানসভা কেন্দ্রে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। তাই প্রার্থী পরিবর্তন করে উত্তবরঙ্গে পায়ের তলার জমি ফিরে পেতে মরিয়া তৃণমূল। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কয়েকটি জেতা আসনেও প্রার্থী বদল করা হয়েছে। একইসঙ্গে শেষ পাঁচ বছরে কয়েকজন তৃণমূল ছেড়ে গিয়েছেন বিজেপিতে। দেখে নিন উত্তরবঙ্গের কোন কোন আসনে প্রার্থী পরিবর্তন হয়েছে –
১) মেখলিগঞ্জ : বাদ পড়েছেন অর্ঘ্য রায়প্রধান। এসেছেন পরেশ অধিকারী। পিছিয়ে ছিল তৃণমূল।
২) মাথাভাঙা : বাদ পড়েছেন বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। তাঁর আসন পরিবর্তন হয়েছে। এসেছেন গিরীন্দ্রনাথ বর্মন। পিছিয়ে ছিল তৃণমূল।
৩) কোচবিহার উত্তর : বাদ পড়েছেন পরিমল বর্মন। এসেছেন বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। পিছিয়ে ছিল তৃণমূল।
৪) কোচবিহার দক্ষিণ : বিজেপিতে গিয়েছেন মিহির গোস্বামী। এবার টিকিট পেয়েছেন অভিজিৎ দে ভৌমিক। পিছিয়ে ছিল তৃণমূল।
৫) শীতলকুচি : হিতেন বর্মনের পরিবর্তে প্রার্থী হয়েছেন পার্থপ্রতিম রায়। এগিয়ে ছিল তৃণমূল।
৬) তুফানগঞ্জ : ফজলে করিম মিঞার পরিবর্তে প্রার্থী হয়েছেন প্রণব কুমার দে। পিছিয়ে ছিল তৃণমূল।
৭) কুমারগ্রাম : জেমস কুজুরের পরিবর্তে টিকিট পেয়েছেন বিজেপিতে থেকে আসা লেওস কুজুর। পিছিয়ে ছিল তৃণমূল।
৮) কালচিনি : উইলসন চম্প্রমারির পরিবর্তে প্রার্থী হয়েছেন পাসাং লামা। পিছিয়ে ছিল তৃণমূল।
৯) ফালাকাটা : অনিল অধিকারীর পরিবর্তে প্রার্থী হয়েছেন সুভাষ রায়। পিছিয়ে ছিল তৃণমূল।
১০) মাদারিহাট : পদম লামার পরিবর্তে টিকিট পেয়েছেন রাজেশ লাকরা (টাইগার)। পিছিয়ে ছিল তৃণমূল।
১১) ময়নাগুড়ি : অনন্তদেব অধিকারীর পরিবর্তে প্রার্থী হয়েছেন মনোজ রায়। পিছিয়ে ছিল তৃণমূল।
১২) জলপাইগুড়ি : ধরিত্রীমোহন রায়ের পরিবর্তে টিকিট পেয়েছেন প্রদীপকুমার বর্মা। পিছিয়ে ছিল তৃণমূল।
১৩) নাগরাকাটা : সুকরা মুন্ডার পরিবর্তে প্রার্থী হয়েছেন জোসেপ মুন্ডা। পিছিয়ে ছিল তৃণমূল।
১৪) মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি : অমর সিনহার পরিবর্তে টিকিট পেয়েছেন ক্যাপ্টেন নলিনীরঞ্জন রায়। পিছিয়ে ছিল তৃণমূল।
১৫) শিলিগুড়ি : ভাইচুং ভুটিয়ার পরিবর্তে প্রার্থী হয়েছেন ওমপ্রকাশ মিশ্র। পিছিয়ে ছিল তৃণমূল।
১৬) ফাঁসিদেওয়া : কারোলাস লাকরার পরিবর্তে টিকিট পেয়েছেন ছোটেন কিস্কু। পিছিয়ে ছিল তৃণমূল।
১৭) চাকুলিয়া : আলেমা নুরির পরিবর্তে প্রার্থী হয়েছেন মিনহাজুল আরফিন আজাদ। এগিয়ে ছিল তৃণমূল।
১৮) করণদিঘি : মনোদেব সিংয়ের পরিবর্তে টিকিট পেয়েছেন গৌতম পাল। পিছিয়ে ছিল তৃণমূল।
১৯) হেমতাবাদ : সবিতা ক্ষেত্রীর পরিবর্তে প্রার্থী হয়েছেন সত্যজিত্ বর্মন। পিছিয়ে ছিল তৃণমূল।
২০) কালিয়াগঞ্জ : বসন্ত রায়ের পরিবর্তে টিকিট পেয়েছেন তপন দেব সিনহা। পিছিয়ে ছিল তৃণমূল।
২১) রায়গঞ্জ : পূর্ণেন্দু দে’র পরিবর্তে প্রার্থী হয়েছেন কানাইয়ালাল আগরওয়াল। লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ থেকে নিজেই বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরীর থেকে রায়গঞ্জে দ্বিগুণেরও বেশি ভোট পিছিয়ে ছিলেন।
২২) ইটাহার : অমল আচার্যের পরিবর্তে টিকিট পেয়েছেন মোসারেফ হোসেন। এগিয়ে ছিল তৃণমূল।
২৩) বালুরঘাট : শংকর চক্রবর্তীর পরিবর্তে প্রার্থী হয়েছেন শেখর দাশগুপ্ত। পিছিয়ে ছিল তৃণমূল।
২৪) তপন : রাজ্যের মন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদার পরিবর্তে টিকিট পেয়েছেন কল্পনা কিস্কু। পিছিয়ে ছিল তৃণমূল।
২৫) গঙ্গারামপুর : সত্যেন্দ্রনাথ রায়ের পরিবর্তে প্রার্থী হয়েছেন গৌতম দাস। পিছিয়ে ছিল তৃণমূল।
২৬) হবিবপুর : অমল কিস্কুর পরিবর্তে টিকিট পেয়েছেন সরলা মুর্মু। পিছিয়ে ছিল তৃণমূল।
২৭) গাজোল : সুশীলচন্দ্র রায়ের পরিবর্তে প্রার্থী হয়েছেন বাসন্তী বর্মন। পিছিয়ে ছিল তৃণমূল।
২৮) চাঁচল : সৌমিত্র রায়ের পরিবর্তে টিকিট পেয়েছেন নীহাররঞ্জন ঘোষ। পিছিয়ে ছিল তৃণমূল।
২৯) মালতিপুর : মোয়াজ্জেম হোসেনের পরিবর্তে প্রার্থী হয়েছেন আবদুর রহিম বক্সি। পিছিয়ে ছিল তৃণমূল।
৩০) রতুয়া : শেহনাজ কাদেরির পরিবর্তে টিকিট পেয়েছেন সমর মুখোপাধ্যায়। এগিয়ে ছিল তৃণমূল।
৩১) মালদহ : দুলালচন্দ্র সরকারের পরিবর্তে প্রার্থী হয়েছেন উজ্জ্বল চৌধুরী। পিছিয়ে ছিল তৃণমূল।
৩২) মোথাবাড়ি : এম ডি নজরুল ইসলামের পরিবর্তে টিকিট পেয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন। পিছিয়ে ছিল তৃণমূল।
৩৩) সুজাপুর : আবু নাসের খান চৌধুরীর পরিবর্তে প্রার্থী হয়েছেন মহম্মদ আবদুল ঘানি। পিছিয়ে ছিল তৃণমূল।
৩৪) বৈষ্ণবনগর : অসিতবরণ বসুর পরিবর্তে টিকিট পেয়েছেন চন্দনা সরকার। পিছিয়ে ছিল তৃণমূল।