রবিবার সকালেও জারি আন্দোলন। উপাচার্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বদল না করলে আন্দোলন জারি থাকবে বলেই দাবি আন্দোলনকারীদের।
সময় যত যাচ্ছে পড়ুয়াদের মনোবল যেন ততই শক্তিশালী হচ্ছে। বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বাড়ির সামনে বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের আন্দোলন মঞ্চ থেকে বাজলো সানাই। উপাচার্যের বাড়ির পিছন দিক দিয়ে ঢুকলো চালডাল মোমবাতি সহ অন্যান্য রসদ।
বিশ্বভারতীর তিন পড়ুয়াকে তিন বছরের জন্য বরখাস্তের প্রতিবাদে ও অবিলম্বে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে শুক্রবার রাত থেকে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে ঘেরাও করে রেখেছে ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ। যতদিন না দাবি পূরণ হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলেই জানিয়েছে পড়ুয়ারা।
ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সংগঠনের তরফ থেকে এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে তারা পাশে দাঁড়িয়েছে। বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি, মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর, বিশ্বভারতীর অধ্যাপকদের সংগঠন ইতিমধ্যেই তাদের সমর্থন জানিয়ে গেছে আন্দোলন মঞ্চে এসে। এর আগেই বিশ্বভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিরুদ্ধে গণআন্দোলন হলে তাকে পূর্ণ সমর্থন জানাবে তৃণমূল কংগ্রেস, এমন কথা ঘোষণা করেছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ফলে এই আন্দোলনকে দীর্ঘস্থায়ী হতে চলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আন্দোলন দীর্ঘস্থায়ী হতে চলেছে এই আশঙ্কাতেই উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নিজের বাসভবনে “পূর্বিতা”তে রসদ জমা করা শুরু করলেন, বলেই বিশ্বভারতী সূত্রে খবর।
আন্দোলনকারীরা ইতিমধ্যেই উপাচার্যের বাড়ির সামনের রাস্তায় মঞ্চ বেঁধে ফেলেছেন। সেখান থেকেই মাইককে উপাচার্যের বিরুদ্ধে এবং ছাত্র ছাত্রীদের আন্দোলনের সমর্থনে নানা স্লোগান চলছে। বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গেছে, পরিস্থিতি বিবেচনা করে চাল, ডাল, পাওয়ার ব্যাঙ্ক, মোমবাতি- সহ বেশ কিছু অতি প্রয়োজনীয় সামগ্রী বাড়ির পিছনের পথ দিয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে উপাচার্যের কাছে। শনিবার সকালেই নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ উপাচার্যের বাড়ি ঘিরে আরও বেশকিছু সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়েছে। গতকাল থেকেই স্লোগান এর সঙ্গে বিভিন্ন রবীন্দ্রসঙ্গীত বেঁধেছে আন্দোলন মঞ্চ থেকে। রবিবার দুপুরে শোনা গেল সানাই।
বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের পক্ষ থেকে রাজ্য সভাপতি প্রতীকউর রহমান ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন যে আগামী ৩১ আগস্ট এসএফআইয়ের পক্ষ থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিশাল জমায়েত করা হবে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার এবং শনিবার রাতভর ঘেরাও থাকলেন উপাচার্য। রবিবার সকালেও জারি আন্দোলন। উপাচার্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বদল না করলে আন্দোলন জারি থাকবে বলেই দাবি আন্দোলনকারীদের।