ভোটের সময় আসে আর ভাষণ দিয়ে চলে যায়: ছট পুজোয় কটাক্ষ মমতার, পাল্টা দিলীপ
এবার রাজনীতির পারদ চড়ল ছট পুজোর মঞ্চেও। শুক্রবার একদিকে যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে দইঘাটের অনুষ্ঠানে করোনা আবহে ছট পুজো নিয়ে রাজ্য সরকারের সমস্ত আয়োজনের কথা তুলে ধরেছেন, তখন অন্যদিকে খিদিরপুরের ভূকৈলাসে রাজ্যের নিন্দায় সরব হয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এদিন দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেন, ‘ছট পুজো আয়োজনে রাজ্য সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। বিকল্প কোনও ব্যবস্থা করেনি।’ পাল্টা মমতা বলেন, ‘রাজ্যে ছটে দু’দিন ছুটি দেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশ মেনে আমরা সব আয়োজন করেছি। ছট উপলক্ষে রাজ্যে ১৫০০–র মতো কৃত্রিম জলাশয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পে আড়াই লাখের ওপর পুকুর খননের কাজ চলছে।’ মুখ্যমন্ত্রী এদিন সকলে আদালতের নির্দেশ এবং করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুজো করার আবেদন জানান।
যদিও দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, ‘এতদিন ছট নিয়ে কোনও চিন্তাভাবনা করেনি রাজ্য সরকার। কিন্তু এখন আদালত যেহেতু পুজো নিয়ে বিধিনিষেধ জারি করেছে তাই এই সমস্ত দেখাচ্ছে।’ ছেড়ে কথা বলেননি মমতাও। তিনি এদিন কারও নাম না করে গেরুয়া শিবির–কে আক্রমণ করে বলেন, ‘কেউ কেউ তো ভোটের সময় আসে আর বড় বড় ভাষণ দিয়ে চলে যায়। আমরা সারা বছর মানুষের পাশে থাকি। যে কোনও উৎসবে সবসময় মানুষের সঙ্গে থাকি আমরা।’
বোঝাই যাচ্ছে, একুশের নির্বাচন উপলক্ষে বঙ্গ বিজেপি–কে আরও শক্তিশালী করতে ভিনরাজ্যের নেতারা বিভিন্ন জেলার দায়িত্বে আসছেন— বিজেপি–র এই উদ্যোগকে কটাক্ষ করেছেন মমতা। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই ‘বহিরাগত’ তকমার জবাব নিজের ভাষায় দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার খিদিরপুরে ভূকৈলাসে ছট পুজোর অনুষ্ঠানে রাজ্য বিজেপি সভাপতির কটাক্ষ, ‘বিহারীদের বলা হচ্ছে বহিরাগত। আসন্ন নির্বাচনে তাঁরাই জবাব দেবেন, কারা বহিরাগত আর কারা এখানকার।’