+91 9330828434 +91 9804424251 banglalivenews@gmail.com

হু–র গবেষণা বলছে অধিক কাজ করা মানে দ্রুত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাওয়া।

নিজস্ব সংবাদদাতা - May 26, 2021 7:23 pm - স্বাস্থ্য

হু–র গবেষণা বলছে অধিক কাজ করা মানে দ্রুত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাওয়া।

ওয়াক ফ্রম হোম এ জোর দেওয়া হয়েছে করোনা অতিমারী আবহে। আর খুব স্বাভাবিকভাবেই বাড়িতে থাকায় অনেককেই বাড়তি কাজ করতে হচ্ছে। আর এখানেই সাবধান করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হু–র গবেষণা বলছে অধিক কাজ করা মানে দ্রুত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাওয়া। একেবারে গ্লোবাল স্টাডির পরিসংখ্যান দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি, স্রেফ ২০১৬ সালে ৭ লক্ষ ৪৫ হাজার মানুষের স্ট্রোক কিংবা হৃদরোগে মৃত্যুর সঙ্গে অধিক কাজ করার সম্পর্ক ছিল। এই ধরণের মৃত্যুর প্রবণতা ২০০০ সাল থেকে ৩০ শতাংশ বেড়েছে বলেও দাবি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিবেশ, আবহওয়া ও স্বাস্থ্য বিভাগের ডিরেক্টর মারিয়া নেইরা বলেছেন, ‘‌সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করা মানে এটি একটি মারাত্মক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিপদ।’‌ এই তথ্যের ভিত্তিতে কর্মজীবীদের আরও সচেতন হতে হবে বলে দাবি করেছেন তিনি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংস্থার যৌথ সমীক্ষার দাবি, অধিক কাজ করার ফলে ৭২ শতাংশ মধ্যবয়স্ক ও বয়স্ক ব্যক্তিরা হৃদরোগের শিকার হন। এমনকি এই কারণে তাঁদের মৃত্যু কয়েক দশক পরেও হতে পারে। গবেষণার দাবি, দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার মানুষরাই অধিক কাজ করার দরুণ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। ১৯৪ দেশের মানুষের ওপর হওয়া এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টার বেশি কাজ করলে স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায় ৩৫ শতাংশ, অন্যান্য জটিল হৃদরোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায় ১৭ শতাংশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সপ্তাহে অন্তত ৩৫–৪০ ঘণ্টা কাজ করা স্বাস্থ্যকর। ২০০০ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত হওয়া এই গবেষণায় করোনা অতিমারী পর্ব যোগ হয়নি। তবে গবেষকদের দাবি, এই পর্বে এক অংশের কাজ করার প্রবণতা বেড়েছে, ফলস্বরূপ বেড়েছে ঝুঁকিও। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনা পরিস্থিতিতে অত্যন্ত ৯ শতাংশ মানুষ অধিক কাজ করছেন।


আরও পড়ুন:

Follow Bangla Live on Facebook

Follow Bangla Live on YouTube