করোনা আক্রান্ত হলেন অভিষেকের স্ত্রী
এবার নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার রাতেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করোনায় সংক্রমিত বিধাননগরের ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়ও। তিনিও ওই একই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
গত কয়েকদিনে পরপর বেশ কয়েকজন ভিভিআইপি করোনা আক্রান্ত হলেন। জানা গিয়েছে, অভিষেকের স্ত্রী রুজিরাও কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। করোনার বেশ কয়েকটি উপসর্গ দেখা যায় তাঁর শরীরে। শেষমেশ তাঁর করোনা পরীক্ষা করানো হয়। রিপোর্ট পজিটিভ আসতেই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সোমবার রাতেই কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। করোনা থাবা বসিয়েছে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের শরীরেও। তবে তাঁর মৃদু উপসর্গ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জ্যোতিপ্রিয়বাবুও ইএম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
এর আগেও রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু ও ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পমন্ত্রী স্বপন দেবনাথ করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে দুই মন্ত্রীই করোনা জয় করে বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছন। রাজ্যে শাসকদল তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের মধ্যেই করোনার সংক্রমণ সর্বাধিক।
আগেই করোনা প্রাণ কেড়েছে দুই তৃণমূল বিধায়কের। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ফলতার বিধায়ক তমোনাশ ঘোষের। করোনায় মৃত্যু হয়েছে এগরার তৃণমূল বিধায়ক সমরেশ দাসের।
গোটা রাজ্যেই করোনার সংক্রমণ উদ্বেগ বাড়িয়েছে। প্রতিদিন ৩ হাজার বা তারও বেশি সংখ্যায় মানুষ নতুন করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ লক্ষ ৮৩ হাজার ৮৬৫। করোনায় রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩ হাজার ৬২০।