+91 9330828434 +91 9804424251 banglalivenews@gmail.com

গাছের ছালের প্রাচীন বৌদ্ধ গ্রন্থ, যেন বুদ্ধকে কাছে পাওয়ার ঠিকানা

নিজস্ব সংবাদদাতা - August 7, 2020 11:00 am - ধর্ম

গাছের ছালের প্রাচীন বৌদ্ধ গ্রন্থ, যেন বুদ্ধকে কাছে পাওয়ার ঠিকানা

চিত্র সৌজন্যে: SamayBuddha

গাছের ছালের প্রাচীন বৌদ্ধ গ্রন্থ, যেন বুদ্ধকে কাছে পাওয়ার ঠিকানা
গাছের ছাল জোড়া দিয়ে কিংবা লম্বা ছাল পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে তৈরি সিলিন্ডার। কতকাল যে এভাবে পড়ে ছিল তার ইয়ত্তা নেই। অনেক ছালের ওপরের স্তর উঠে গেছে। হয়ে গেছে কুড়মুড়ে। প্যাঁচ ছাড়াতেই বেরিয়ে পড়ে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রন্থের প্রাচীন লিখিত রূপ।

গাছের ছালে লেখা বৌদ্ধ ধর্ম গ্রন্থের এই প্রাচীন লিখিত রূপ আবিষ্কার করা হয়। সে এখন থেকে ৩০ বছর আগের কথা। সম্প্রতি সম্ভব হয়েছে এর পাঠোদ্ধার। এগুলো বিশ্বের প্রাচীনতম বৌদ্ধ গ্রন্থগুলোর মধ্যে অন্যতম বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এর আগে শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ডেও গাছের ছালে লেখা এ ধরনের গ্রন্থ পাওয়া গেছে বা সংরক্ষিত রয়েছে। পণ্ডিতরা সেগুলো পড়তে পারেন এবং মাত্র কয়েক শ বছরের পুরনো সেগুলো। কিন্তু নতুন আবিষ্কৃত এই গ্রন্থ তারও আগের। শত শত বছর ধরে ক্রান্তীয় জলবায়ুর প্রভাবে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গাছের ছালে লেখা প্রাচীন ভাষা পড়তে পারেন বিশ্বের এমন ২০ পণ্ডিতের একজন মার্ক অ্যালোন। তিনি বলেন, এ ধরনের লিখিত রূপ গবেষকদের অনেক পেছনে নিয়ে যায়। আফগানিস্তানে আবিষ্কৃত এসব গ্রন্থও আমাদেরকে বুদ্ধের খুব কাছাকাছি নিয়ে যাবে।’

দুই হাজার বছরের পুরনো এই পাণ্ডুলিপির পাঠোদ্ধারে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দলের প্রধান ড. অ্যালোন। খুব শিগগির অনলাইনে মানুষ দেখতে এগুলো দেখতে পারবে। সেইসঙ্গে প্রাচীন গ্রন্থ রচনার কৌশলগুলোও সবাই বুঝতে পারবে বলে অ্যালোন জানান।

হাতে তৈরি প্রাচীন গ্রন্থের এমন ২০০টি রোল পাওয়া যায় ১৯৯০-এর দশকে আফগানিস্তানের উত্তর সীমান্ত বরাবর। আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের কাবুল ও সোয়াত নদীর তীরে যে প্রাচীন গান্ধার সভ্যতা গড়ে উঠেছিল, ওই সময় রাজদরবারে বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থের এই রোলগুলো সংরক্ষিত ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।

খ্রিস্টপূর্ব ১০০ থেকে ২০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এই সভ্যতা টিকে ছিল। ওই সময় বৌদ্ধ ধর্ম ভারত থেকে চীন পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।

তালেবান যোদ্ধারা আফগানিস্তানের বোমিয়া প্রদেশের গুহাগুলোতে প্রাচীন গান্ধার সভ্যতার বৌদ্ধ নিদর্শন ধ্বংসের সময় এসব রোল পাওয়া যায়। দুই হাজার বছর ধরে রোলগুলো কাদামাটির পাত্রে পড়ে ছিল।

ড. অ্যালোন বলেন, রোলগুলোর দীর্ঘ আকৃতি এবং যেভাবে ঘূর্ণিত অবস্থায় ছিল তা অন্যান্য শিল্পকর্ম থেকে আলাদা। তিনি বলেন, ‘রোলগুলো সিলিন্ডারের মতো, তবে হাত দিলেই ভেঙে পড়ে।’

পাণ্ডুলিপিগুলোতে প্রার্থনা, বুদ্ধের অতীতের জীবনের গল্প, মনোসংযোগ চর্চার নিয়ম এবং দার্শনিক বক্তব্য রয়েছে।


আরও পড়ুন:

Follow Bangla Live on Facebook

Follow Bangla Live on YouTube