জনস্বার্থে কাজ কম হচ্ছে, ১০০ শতাংশ কাজ চাই: মমতা
বিপুল কর্মযজ্ঞই রাজ্য সরকারের সবচেয়ে বড় শক্তি। কাজই একমাত্র লক্ষ্য মুখ্যমন্ত্রীর। কোনও অছিলাতেই কাজে গাফিলতি তাঁর না-পসন্দ। ৮ মাস পর উত্তরবঙ্গে গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে ফের সেই বার্তাই আরও তীব্রভাবে দিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। ১০০ শতাংশ কাজ চাই। জোর করে কোনও কাজ আটকানো নয়, ঢিলেমি নয়, কড়া বার্তা তাঁর। এক প্রশাসনিক কর্তাকে রীতিমতো ধমকের সুরে বললেন, ”ইন্সপেক্টর-রাজ বেশি চলছে, জনস্বার্থে কাজ কম হচ্ছে। আমি সব খোলনলচে পালটে দেব।”
১০০ শতাংশ কাজ চাই, ১০০ শতাংশ অভিযোগের সুরাহা করতে হবে। প্রায় প্রতিটি বৈঠকেই এই বার্তা বারবার করে মনে করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি করোনা আবহেও যে কাজের গতি থামানো যাবে না, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। তাই তো এর মধ্যেই ৮ মাস পর নিজেই উত্তরবঙ্গে গিয়ে সবটা খতিয়ে দেখছেন। মঙ্গলবার উত্তরকন্যায় আলিপুরদুয়ার আর জলপাইগুড়ি প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসে কাজের খতিয়ানই চাইলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রতিটি দপ্তর ধরে ধরে, প্রতিটি প্রকল্পের অগ্রগতির খোঁজখবর নিলেন। অধিকাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে দেখে মোটের উপর সন্তুষ্ট হলেও রাশ আলগা করতে নারাজ তিনি। জোরের সঙ্গেই বললেন, ”১০০ শতাংশ কাজ যেন হয়।” বললেন, পেনশন আটকানো যাবে না। টাকা পাওয়া সত্ত্বেও যাঁরাও কাজ করছে না বলে রিপোর্ট পেলেন তিনি, তাঁদের কড়াভাবে জানিয়ে দিলেন, আগামী ৩ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করতেই হবে। প্রয়োজনে প্রশাসনিক কর্তারাই যেন মাঠে নেমে কাজ শুরু করেন। উদ্বাস্তুদের জমি সমস্যা সমাধান থেকে শুরু করে শ্রম দপ্তরের যেসব কাজ অল্প বাকি আছে, তা এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিলেন। জোর করে কাজ আটকানো কিংবা ঢিলেমি কেউ করলে যে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে, তাও ফের মনে করালেন।
উত্তরকন্যায় এমন এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের মাঝপথে তাল কেটে দিল মাইক্রোফোন বিভ্রাট। সাংবাদিকরা শুনতে পাচ্ছেন না, তা বুঝেই বেশ অসন্তুষ্ট হলেন মুখ্যমন্ত্রী। যিনি এই সংযোগের দায়িত্বে ছিল, তাকে তলব করে কেন সমস্যা হচ্ছে, জানতে চান তিনি। এর জেরে প্রায় মিনিট দশেক বন্ধ ছিল আলোচনা। এর আগে দুর্গাপুজোর বৈঠকের দিনও এমনই বিভ্রাট হয়েছিল। আজও একই সমস্যায় স্বভাবতই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার আরও তিন জেলার সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।