পর পর তিনটি ক্যাবিনেট বৈঠকে অনুপস্থিত শুভেন্দু, ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
নিজের জেলায় বসে দফতরের কাজ নিয়েই ব্যস্ত রাজ্যের অন্যতম ক্যাবিনেট মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য নেতাও বটে। কিন্ত জেলার বাইরে প্রায় দেখা মিলছে না তাঁর। অথচ দু হাতে সাহায্য করছেন সাধারণ মানুষকে। সাহায্য পাঠাচ্ছেন কোভিড হাসপাতালগুলোতে। শুভেন্দু অধিকারীর এই আচরণ নিয়েই জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সবাই ভাবছে কি হয় কি হয়!
২৩ জুলাইয়ের পর থেকে দূরত্ব বৃদ্ধি
২৩ জুলাই তৃণমূলের নতুন রাজ্য কমিটি গঠিত হয়েছে। অভিযোগ, তাতে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি নন্দীগ্রামের বিধায়ককে বা বিধায়কের পরিবারের সদস্যদের। তারপর থেকেই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব আরও বেড়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সম্প্রতি হাজির হননি দলের সমন্বয় কমিটির বৈঠকেও। হাজির হননি দল বা সরকারি ব্যানারে অনুষ্ঠিত প্রোগ্রামে। প্রসঙ্গত ২১ জন নেতানেত্রীকে নিয়ে গঠন হওয়া তৃণমূলের সমন্বয় কমিটির অন্যতম নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
তিনটি ক্যাবিনেট বৈঠকে অনুপস্থিত
নবান্নের শেষ ক্যাবিনেট বৈঠকে আসেননি শুভেন্দু অধিকারী। যা নিয়ে তিনি পরপর তিনটি ক্যাবিনেট বৈঠকে অনুপস্থিত থেকেছেন এখনও পর্যন্ত।
শেষ ক্যাবিনেট বৈঠকে না আসার ব্যাখ্যা
শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠমহল থেকে অবশ্য শেষ ক্যাবিনেট বৈঠকে উপস্থিত না হওয়া নিয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, কাঁথির বাড়িতে পরিবারের একাধিক সদস্য করোনা আক্রান্ত। সেই কারণেই তিনি ক্যাবিনেট বৈঠকে যাননি।
রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ‘নির্লিপ্ত’
শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যাই শোনা যাক না কেন, কোনও জল্পনারই কোনও উত্তরে নারাজ তিনি। ফলে নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও প্রশ্ন উঠছে বলে তিনি মনে করেন না। তিনি বর্তমানে নিরুত্তাপ।