+91 9330828434 +91 9804424251 banglalivenews@gmail.com

রবীন্দ্রনাথকে শান্তিনিকেতনে বহিরাগত বলার জন্য ক্ষমা চাইলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য

নিজস্ব সংবাদদাতা - September 12, 2020 10:31 pm - রাজ্য

রবীন্দ্রনাথকে শান্তিনিকেতনে বহিরাগত বলার জন্য ক্ষমা চাইলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য

রবীন্দ্রনাথকে বহিরাগত বলায় সমালোচনার মুখে পড়েন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এরজন্য তিনি এদিন ক্ষমা চাইলেন।তবে তাঁর দাবি, তাঁর মন্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে।

গত মাসে বিশ্বভারতীর পৌষ মেলা মাঠে পাঁচিল তোলা নিয়ে বিবাদের মধ্যেই রবীন্দ্রনাথকে ‘বহিরাগত’ বলেন বিদ্যুৎবাবু। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক মন্তব্যের জবাবে গত ২৩ অগাস্ট তিনি বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথও বহিরাগতই ছিলেন। এখানে এসে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।’

এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, ‘বহিরাগতদের জড়ো করে পৌষ মেলা প্রাঙ্গণে পাঁচিল তোলার চেষ্টা করছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।’

নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করে বিদ্যুৎবাবু বলেছেন, ‘রবীন্দ্রনাথকে বহিরাগত বলায় কেউ আহত হয়ে থাকলে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। আমি দুঃখিত। রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এছাড়া আমি আর কিছুই বলতে চাইনি।’

সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি শুধু ঐতিহাসিক ও ভৌগলিক ঘটনাক্রমকে বলার চেষ্টা করেছিলাম মাত্র। একবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও তাঁর বাবা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এখানে দাঁড়িয়ে বিশ্রাম নিয়েছিলেন। তার থেকেই শান্তিনিকেতনের উৎপত্তি।’

নিজের পুরনো মন্তব্যে অনড় থেকে উপাচার্য বলেন, ‘গুরুদেব রবীন্দ্রনাথও বহিরাহত ছিলেন। তবে এই স্থানের সঙ্গে তিনি সংযোগ খুঁজে না পেলে বিশ্বভারতী তৈরি হত না।’

বলে রাখি, রবীন্দ্রনাথকে বহিরাগত বলায় বিশ্বভারতীর উপাচার্যের অপসারণ নিশ্চিত করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেন একাধিক বুদ্ধিজীবী।


আরও পড়ুন:

Follow Bangla Live on Facebook

Follow Bangla Live on YouTube