সততা আমদানি করা যায় না : বিমান বসু
একের পর এক বাম নেতার কাছে তৃণমূলে যোগদানের অনুরোধ জানিয়ে পিকের দলের ফোন আসার খবরে প্রতিক্রিয়া জানালেন বামফ্রন্ট সভাপতি বিমান বসু। রবিবার প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার এই উদ্যোগকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছেন তিনি। তাঁর কটাক্ষ থেকে নিস্তার পায়নি তৃণমূলও। তিনি জানান, তৃণমূল দলটা দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। গোটা দলটা চোর ডাকাতে ভরা।বিমানবাবুর দাবি, ‘এটা ওদের দুর্ভাগ্য। আমাদের সততার জয়।
মাসখানেক ধরে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক সিপিএম নেতা দাবি করেছেন, তাদের কাছে পিকের সংস্থার IPAC-এর নাম করে ফোন এসেছে। তাতে তাঁদের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রশংসা করে তৃণমূলে যোগদানের আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু প্রত্যেকেই পত্রপাঠ সেই প্রস্তাব খারিজ করে সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছে। উত্তর থেকে দক্ষিণ, একাধিক সিপিএম নেতার কাছে এসেছে এমন ফোন।
যার সাম্প্রতিকতম সংযোজন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী দেবেশ দাস। শনিবার জানা যায়, গত ৪ অগাস্ট তাঁকে ফোন করেছিল IPAC-এর এক কর্মী। তাঁকে তৃণমূলে যোগদানের প্রস্তাব দেন তিনি। সেজন্য দেবেশবাবুর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চান ওই ব্যক্তি। পত্রপাঠ প্রস্তাব খারিজ করেন দেবেশ দাস। জানান, ‘মানুষ কেনা যায়, কিন্তু আদর্শ কেনা যায় না।’
রবিবার এই নিয়ে আলিমুদ্দিনে দলের সদর দপ্তরে শোরগোল পড়ে। পিকের দলের এত সাহস প্রাক্তন মন্ত্রীকে ফোন করে? এই নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। তিনি বলেন, ‘সততা আমদানি করা যায় না। এটা পিকে বুঝে গিয়েছে।’ সঙ্গে তৃণমূলকে তাঁর কটাক্ষ, ‘তৃণমূল দলটা দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। গোটা দলটা চোর ডাকাতে ভরা।’ বিমানবাবুর দাবি, ‘এটা ওদের দুর্ভাগ্য। আমাদের সততার জয়।’
সূত্রের খবর, পিকের সংস্থার ফোনের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার চিন্তা ভাবনা করছে সিপিএম। সেজন্য বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য-সহ একাধিক বামপন্থী আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করছেন তাঁরা।