সবজির দাম এতো বেড়ে গেল কেন!!
দফায় দফায় বেড়েছে সবজির দাম । অথচ বাজারে কোনো সবজির ঘাটতি নেই। পর্যাপ্ত সবজির সরবরাহ থাকলেও করোনা ও আম্ফানের অজুহাতে গত দুই মাস ধরেই ঊর্ধ্বমুখী রাজ্যের সবজির বাজার। এসময়ের মধ্যে কোনো কোনো সবজির দাম দুই থেকে তিন গুণ ছাড়িয়ে গেছে। লকডাউনের সময় দাম অনেক কম ছিল।
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও দাম বেড়েছে বেশিরভাগ সবজির। কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে এসব সবজি। তবে চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু, পেঁপে, কচু ও কাঁচা কলা। চড়া দাম দেখা যাচ্ছে শাকের বাজারেও। তবে প্রায় অপরিবর্তিত আছে চাল, ডাল, তেল ও মসলার বাজার।
দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কাঁচা বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে। ক্রেতারা কিন্তু বিরক্ত। ভোটের বাজারে বিপরীত ফল পাওয়া যেতে পারে।
এসব বাজারে আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু, পেঁপে, কচুর মুখি ও কাঁচা কলা। প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঠেড়স, বেগুন ৬০ টাকা, কাঁচা কলা একটি ৮–১০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
আর কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে প্রতিকেজি শসা (দেশি) বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, গাজর ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৬০–৭০ টাকা, ঝিঙা-ধুন্দল ৭০ টাকা, চিচিঙা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কাকরোল আকারভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ বা ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, বেগুন আকারভেদে ৭০ থেকে ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, লংকা ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে শাক। এসব বাজারে প্রতি আঁটি (মোড়া) লাল শাকের দাম চাওয়া হচ্ছে ১৫ টাকা, মুলা ও কলমি শাক ৮ থেকে ১০ টাকা, লাউ ও কুমড়া শাক ৪০ টাকা, পুঁই শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি, সজনে ডাটা ১৫০ টাকা কেজি।
এদিকে সবজির বাড়তি দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কদমতলা বাজারে এক বিক্রেতা বাংলা লাইভকে বলেন, বাজারে মালামাল না এলে দাম এমনিতে বেড়ে যায়। এখন বহু কারণে মালামাল সংকট আছে বাজারে। তাই বাড়তি দাম দিয়ে মালামাল কিনতে হচ্ছে। সেখানে দাম চড়া হওয়ায় খুচরায় দাম বেশি।
তবে তার কথার সঙ্গে একমত না এ বাজারের ক্রেতা ম্যানেজার মুখার্জি। তিনি বলেন, বাজারে সবজির সরবরাহ পর্যাপ্ত তাহলে কেন দাম বাড়বে। সবজির ঘাটতি হলে দাম বাড়বে, কিন্তু এই বাজারে সবই বিপরীত। ক্রেতার পকেট কাটায় ব্যস্ত বিক্রেতারা।