সাত দিনের মধ্যে আলুর দাম না কমালে কড়া ব্যবস্থা
এর আগেই সাবধান করা হয়েছিল পাইকারি বাজারের আলু ব্যবসায়ীদের। কিন্তু অভিযোগ, তাঁদের কেউই সরকারি নির্দেশ মানেনি। দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে আলুর দাম। শুক্রবার রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে জ্যোতি আলু বিকিয়েছে ৩২ টাকা কেজি দরে। আর চন্দ্রমুখী কেজি প্রতি ৩৬ টাকা। কলকাতার বিভিন্ন বাজারে কয়েকদিনের ব্যবধানে বস্তাপ্রতি আলুর দাম বেড়েছে ১৫০ টাকা।
পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি, আলুর নাকি জোগান নেই, তাই দাম বেড়েছে। আর সে কথা কানে তুলতে নারাজ পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবার নিল কড়া ব্যবস্থা। শুক্রবার রাজ্য সরকারের সঙ্গে এনফোর্সমেন্ট বিভাগের আধিকারিক, আলু ব্যবসায়ী সংগঠন, ট্রেডার্স সংগঠন ও হিমঘর সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানে হাজির ছিলেন কৃষি বিপণন দফতরের সচিবও। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ৭ দিনের মধ্যে আলুর দাম না কমালে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, নবান্ন থেকে নির্ধারিত দামে বিক্রি করতে হবে আলু। হিমঘর থেকে বেরনোর সময় আলুর দাম রাখতে হবে ২২ টাকা প্রতি কেজি। এর পর সেটি সর্বোচ্চ ২৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হবে পাইকারি বাজারে। সাধারণ মানুষ যখন আলু কিনবেন তখন কেজি প্রতি দাম ২৫ টাকার বেশি নেওয়া যাবে না। আর ৭ দিনের মধ্যে দাম নিয়ন্ত্রণ না করা হলে পাইকারি বাজারে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে রপ্তানিও বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। জানা গিয়েছে, পাইকারি ও খুচরো বাজারে সঠিক দাম নেওয়া হচ্ছে কিনা তার নিশ্চিত করতে নজরদারি চালাবেন কৃষি বিপণন দফতরের আধিকারিকরা।