সুমন্ত বিশ্বাস পেশায় শিক্ষক হয়েও বেরিয়ে পরেন আর্থিকভাবে পিছিয়ে পরা মহিলাদের ঋতুকালীন স্বাস্থ্য সচেতনতার পাঠ দিতে।
সুমন্ত বিশ্বাস, চন্দননগরের বাসিন্দা, পেশায় শিক্ষক।দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে গ্রাম বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যায় ছাত্রছাত্রীদেরকে নিয়ে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পরা মহিলাদের ঋতুকালীন স্বাস্থ্য সচেতনতার পাঠ দিতে।কাজটা শুরু করেছিলেন বোলপুরের বোনেরপুকুর ডাঙার আদিবাসী পাড়া থেকে।তারপর একে একে পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের রুগরুঘুঠু,পিটিদিরি,তালাকদহ,সুন্দরবনের চরঘেরি,পান্ডুয়া,বৈচিগ্রামসহ একাধিক জায়গায় পৌঁছে গেছেন কেবলমাত্র নারীসমাজ যাতে ঋতুকালীন সময় নিজেদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হয় তা বোঝাতে। ওনার এই কাজে ছাত্রছাত্রীরা ভীষনভবে এগিয়ে এসেছে।সিঙ্গুরের একটি হাইমাদ্রাসা ও একটি বস্তি এলাকার মহিলাদের ওনারা সারাজীবননের দায়িত্ব নেন ,সেখানে প্রতিমাসে নিয়ম করে বিনামূল্যে ন্যাপকিন পৌঁছে দেন ।কারন আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মহিলাদের পক্ষে প্রতিমাসে ন্যাপকিন কেনা সম্ভব হয় না।লকডাউনের সময়ও ওনারা থেমে থাকেন নি , চন্দননগর থেকে সাইকেলে করে ন্যাপকিন পৌঁছে দিয়েছেন ।আমফানের পর সুন্দরবনের বিভিন্ন জায়গায় ন্যাপকিন দিয়েছেন ।ছাত্রছাত্রীদেরকে নিয়ে তৈরি করেছেন ‘ভূ-সংকল্প ‘ নামে একটা সংস্থা।যার প্রধান উদ্দেশ্যে হলো ঋতুস্রাব নিয়ে সংস্কার দূর করা।সমাজের মধ্যে সচেতনতা ফিরিয়ে আনতে ঋতুস্রাবের উপর একটি বই লিখেছেন ‘পবিত্র ঋতূস্রাব ও সামাজিক ছুতমার্গ’এই নামে যা গত কোলকাতা বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে।শিক্ষকতার পাশাপাশি ওনার স্বপ্ন শক্তিশালী নারী সমাজ গঠন করা।ভালো সমাজ পেতে গেলে নারীসমাজকে শক্তিশালী করতে হবে।সংস্কার দূর করতে হবে।নারী স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।