স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে এক নজরে রাষ্ট্রপতির ভাষণের সারাংশ
কঠিন সময়েও কীভাবে ভারত এগিয়ে যাচ্ছে, এটাই ছিল ৭৪তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে রাষ্ট্রপতির ভাষণের মুল বিষয়। কোভিড নিয়ন্ত্রণ, করোনার সময় গরীবদের সাহায্য প্রভিতি বিষয় তুলে ধরেন তিনি। অন্যদিকে আবার চিনের জন্য কড়া সতর্কবার্তাও জারি করেন তিনি।
সময় মতো কেন্দ্রীয় সরকার করোনা মোকাবিলায় রত হওয়ায় অনেক প্রাণ বাঁচানো গিয়েছে। করোনা যোদ্ধারা কুর্ণিশ প্রাপ্য তাদের অনবদ্য কীর্তির জন্য।
করোনা মোকাবিলায় রণনীতি রূপায়ণে আঞ্চলিক ও বিশ্বমঞ্চে পুরোভাগে রয়েছে ভারত।অতিমানবীয় চেষ্টার দ্বারাই এত বড় ও জনঘনত্বপূর্ণ দেশে কোভিডকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। কোভিডকে নিয়ে চলতে হবে মানুষকে। করোনা কোনও মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে না। তাই মানুষের মধ্যে যে কৃত্তিম দেওয়াল, বিভাজন, বিভেদ, সেটা কাটিয়ে ওঠা দরকার। একে অপরের প্রতি সহযোগিতার মাধ্যমে উন্নত ভবিষ্যত আনা সম্ভব।
পড়শিরা এই কঠিন সময় বিপথে গিয়েছে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির নিদর্শন দেখিয়ে। গালওয়ানে ভারতের বীর সন্তানদের আত্মবলিদান দেখিয়েছে যে দেশ যেমন শান্তিতে বিশ্বাস করে, কিন্তু কোনও আগ্রাসনের যোগ্য জবাব দিতেও তারা প্রস্তুত।
রামন্দিরের ভূমিপুজো একটি অত্যন্ত গর্বের বিষয়, যেখানে মানুষ ধৈর্য ধরেছিলেন, বিচারব্যবস্থার ওপর আস্থা রেখেছিলেন। যেভাবে সব পক্ষ মেনে নিয়েছে এই রায় সেটা ভারতের শান্তি, অহিংসা, সম্প্রীতি ও ভালোবাসার যে রীতি, তারই নিদর্শন।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ খাদ্যদ্রব্য বণ্টন প্রকল্পে মাসে ৮০ কোটি মানুষ সুবিধা পাচ্ছেন। বন্দেভারত মিশনে দশ লক্ষের ওপর মানুষ ঘরে ফিরেছেন।
রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে ভারত যেভাবে বিশ্বের সহযোগিতা পেয়েছে, তাতে বোঝা যায় কীভাবে দেশকে দেখা হয় বিশ্বজুড়ে।