১৩তম বর্ষপূর্তির মঞ্চ থেকে শুভেন্দুর কটাক্ষ, ‘নন্দীগ্রামের কথা ওরা মনে রেখেছে বলে ভাল লাগছে
জনসমুদ্রের মাঝে দাঁড়িয়ে মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে তেখালির সভামঞ্চ থেকে একের পর হুঙ্কার দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ডাকে ১৩ বছর ধরে অরাজনৈতিক ব্যানারে হয়ে আসা এই সভার পাল্টা সভা করতে চলেছে তৃণমূল। এই প্রথম সরাসরি রাজনৈতিক মঞ্চে হবে নন্দীগ্রাম শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান। এদিন বিকেলে সেই সভায় তাকবেন রাজ্যের আর এক মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। যা নিয়ে বিতর্ক এবং জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
সে ব্যাপারেই এদিন নাম না করে রক্তাক্ত সূর্যোদয়ের ১৩তম বর্ষপূর্তির মঞ্চ থেকে শুভেন্দুর কটাক্ষ, ‘নন্দীগ্রামের কথা ওরা মনে রেখেছে বলে ভাল লেগেছে। খুব ভাল লেগেছে।’ তাঁর প্রশ্ন, ‘কারও নাম না নিয়ে বলেন, ‘ভোটের আগে আসবেন, ভোটের পরেও তো আসতে হবে।’
শুভেন্দু এদিন বলেন, ‘এই সভা বা কর্মসূচি নতুন নয়। এই সভা ১৩ বছরের সভা। এই কর্মসূচি ১৩ বছরের কর্মসূচি।’ তিনি মনে করিয়ে দেন, ‘নন্দীগ্রাম আন্দোলনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লড়াই করেছি। আমি নতুন লোক নই। চেনা বামুনের পৌতে লাগে না। নন্দীগ্রাম আন্দোলন শুভেন্দু অধিকারী বা অন্য কোনও ব্যক্তির নয়। এই আন্দোলন স্বতঃস্ফূর্ত মানুষের আন্দোলন।’
১২ বছর ধরে অরাজনৈতিক ব্যানারে সভা করে আসছে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। যার প্রধান পৃষ্ঠপোষক শুভেন্দু অধিকারী। এদিন সকালের সভার পর ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ডাকেই বিকেলে সভা চৌরঙ্গী বাজারে। সেখানে সভাপতিত্ব ছিলেন গণ আন্দোলনের নেতা মেঘনাথ পাল। থাকবেন আবু তাহের, পীযূশ ভুঁইয়ারা।
এবার এই দুটি সভার পাল্টা সভা করছে তৃণমূল। এদিন বিকেলে নন্দীগ্রামের হাজরাকাটায় সভা করবে রাজ্যের শাসকদল। এই প্রথম তৃণমূলের ব্যানারে নন্দীগ্রামে শহিদ দিবস হতে চলেছে। শেখ সুফিয়ানের নেতৃত্বে হাজরাকাটায় তৃণমূলের সভায় ছিলেন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।