সংসদের মতো বাংলার বিধানসভা অধিবেশনেও থাকছে না প্রশ্নোত্তর পর্ব
সংসদের দুই কক্ষে খুব শীঘ্রই অধিবেশন শুরু হতে চলেছে। স্থির হয়েছে যে ওই অধিবেশনে কোনও মৌখিক প্রশ্ন করা চলবে না। বিরোধীদের লিখিত প্রশ্নের জবাব দেবে সরকারপক্ষ। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত আসলে বিরোধীদের মুখ রাখার কৌশল। এমনই অভিযোগ করেছে তৃণমূল-সহ অন্যান্য বিরোধীরা। এই অবস্থায় রাজ্যের বিধানসভা অধিবেশন নিয়ে একই অভিযোগ উঠল পশ্চিমবঙ্গের শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কারণ রাজ্যের বিধানসভা অধিবেশনে কোনও প্রশ্নোত্তর পর্বই রাখা হচ্ছে না। মৌখিক বা লিখিত কোনও উপায়েই সরকারকে প্রশ্ন করতে পারবে না বিরোধীরা। কেন্দ্রের বিরোধিতা করে রাজ্যের আইনসভায় একই নির্দেশিকা জারি করায় দ্বিচারিতার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে বাদল অধিবেশনে রাজ্যের বিধানসভায় থাকছে না কোনও প্রশ্নোত্তর পর্ব। আগামী সপ্তাহে ৯ ও ১০ তারিখে দুই দিনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় দুই দিনের জন্য অধিবেশন হবে। করোনা আবহে কম সময়ের মধ্যে সকল কাজ সম্পন্ন করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
সংসদে ১৮ দিনের বাদল অধিবেশনে কোনও মৌখিক প্রশ্নোত্তর পর্ব না থাকার জন্য কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছিল তৃণমূলের সাংসদেরা। কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র এবং তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন এই নিয়ে বিরোধী স্বর দমিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। এবার সেই একই অভিযোগে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে বাম-কংগ্রেসের নেতারা।
করেবৃহস্পতিবার ডেরেক ও’ব্রায়েন টুইট করে কেন্দ্রকে আক্রমণ ন। এবং লেখেন, “এটা সংসদ, গুজরাতের জিমখানা নয়।” একই সুরে শুক্রবার ডেরেক তথা তৃণমূলকে আক্রমণ করে সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেছেন, “এটা পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা, আপনার নবান্ন নয়।”
ক্রমাগত আক্রমণের মুখে পরে ফের জবাব দিয়েছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। এদিন ফের তিনি টুইট করে লিখেছেন, “ভারতে পাঁচ দিনের কম সময়ের কোনও আইনসভার অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্ব হয়নি। ১৯৬২ সালে ভারত-চিন যুদ্ধের সময়ে কেবলমাত্র ব্যতিক্রম হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় মাত্র দুই দিনের অধিবেশন চলবে।” একই সঙ্গে বিরোধীদের উদ্দেশ্য করে তিনি আরও লিখেছেন, “অনুগ্রহ করে আপেল আর কমলালেবুকে গুলিয়ে ফেলবেন না। লেখাপড়া করুন। অন্যথায় টিউশনের জন্য আমাদের কাছে আসুন।”